থাইল্যান্ডের বিপক্ষে দাপুটে জয় টাইগ্রেসদের
প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে হারের কারণ ছিল বিবর্ণ ব্যাটিং। দ্বিতীয় ম্যাচেও সেটাই ডোবাতে বসেছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে। কিন্তু বোলারদের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে মাত্র ৮৮ রানের পুঁজি নিয়েও থাইল্যান্ড নারী দলকে ৩৫ রানে হারিয়ে দিয়েছে রুমানা আহমেদের দল।
ব্যাংককে এশিয়া কাপের টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটের লড়াইয়ে সোমবার থাইল্যান্ড নারী দলের বিপক্ষে শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৮৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ নারী দল। সানজিদা ইসলামের ৩৮ ও ফারজানা হকের ১৫ রানে এই সংগ্রহ দাঁড় করায় টাইগ্রেসরা। পরে রান তাড়া করতে নামা থাইল্যান্ডকে ১৮.৩ ওভারে ৫৩ রানেই অলআউট করে দেয় বাংলাদেশের মেয়েরা।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলিং তোপে পড়ে থাইল্যান্ড। স্কোরবোর্ডে ৩৫ রান উঠতেই পাঁচ ব্যাটসওম্যানকে হারিয়ে বসে দলটি। শেষপর্যন্ত ধাক্কাটি আর সামলে ওঠা হয়নি থাইদের।
এদিন মাত্র দুজন থাইল্যান্ড ব্যাটসওম্যান দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পেরেছেন। উদ্বোধনী নাত্তাকান চানতাম ২১ ও অধিনায়ক স্বর্ণারিন টিপ্পোচ ১০ ছাড়া বাকি সকলেই এক অঙ্কের ঘরে ফিরে গেছেন।
বোলিং দাপটের দিনে বাংলাদেশের সেরা প্রদর্শনীটি এসেছে পান্না ঘোষের থেকে। ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ মাত্র ৯ রানে ৪টি উইকেট তুলে নিয়েছেন এই ২৭ বর্ষী ট্রাইগ্রেস। রুমানা আহমেদ ৩.৩ ওভারে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন মাত্র ৫ রান খরচায়।
এছাড়া ঝরনা আলম ২টি ও খাদিজাতুল কুবরা ১টি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন। রিতু মনি কোনো উইকেট না পেলে ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ৭ রান।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ধীরগতির শুরুর পর দ্রুতই নিগার সুলতানা (২) ও সায়লা শারমিনকে (০) হারায় বাংলাদেশ। পরে ফারজানাকে নিয়ে ৪২ রানের জুটি গড়েন সানজিদা। ব্যক্তিগত ১৫ রানে ফারজানার বিদায়ে ভাঙে এই জুটি।
এরপর আয়েশা রহমান (২) ও অধিনায়ক রুমানা ৪ রানে সাজঘরে ফেরেন। মাঝে ফিরে যান সর্বোচ্চ সংগ্রাহক সানজিদাও। ১ চারে ৪৮ বলে ৩৮ রান করেন এই উদ্বোধনী।
শেষদিকে সালমা খাতুন ১২ বলে অপরাজিত ১০ রান যোগ করেন। জাহানারা আলম অপরাজিত ছিলেন ৯ রানে।
থাইল্যান্ডের হয়ে সুলেপ্রোন লাওমি ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া চান্দ্রিরা ও নাত্তায়ার দখলে গেছে ১টি করে উইকেট।
মন্তব্য চালু নেই