তুর্কি টিভি সিরিজের টার্গেট ২০০ কোটি ডলার

বিশ্বব্যাপী টিভি সিরিজ ও সোপ অপেরা রফতানির মাধ্যমে ২০২৩ সালের মধ্যে ২০০ কোটি ডলার আয়ের লক্ষ্যে নেমেছে তুরস্ক। দেশটির চলচ্চিত্র প্রযোজকদের প্রতিষ্ঠান এফআইওয়াইএবি’র সভাপতি মেতিন তানতুর্ক বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমকে এ কথা বলেন। তিনি জানান, সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে তুর্কি সিরিয়াল। যা দেশটির অর্থনীতি ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ভালো প্রভাব ফেলেছে।

সম্প্রতি ইউএস ডলারের বিপরীতে তুরস্কের মুদ্রার দর পতন ঘটেছে। মেতিন আশা করছেন, চলচ্চিত্র ও সিরিয়ালের রফতানি বাড়লে এর বিপরীতে ইতিবাচক প্রভাবই পড়বে।

তিনি জানান, ২০০টির মতো দেশে তুরস্কের সিরিয়াল বিক্রি হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রতি এপিসোডের দাম পড়ে আড়াই লাখ ডলারের মতো। সব মিলিয়ে ইতোমধ্যে বার্ষিক রফতানি আয় ২০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। দিনদিন সে লক্ষ্যমাত্রা বাড়ছে।

মূলত ২০০৪ সাল থেকে মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ আমেরিকা ও দক্ষিণ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তুর্কি সিরিয়ালের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। যা ধীরে ধীরে ২০০টির মতো দেশে ছড়ায়। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হওয়া সিরিজ হলো ‘মুহতেশেম ইউযিয়েল’ (সুলতান সুলেমান)। ইতোমধ্যে বাংলাদেশসহ ৭০টি দেশে ২৫ কোটির বেশি দর্শক সিরিজটি দেখেছেন।

জনপ্রিয়তার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ২০০১ সালে নির্মিত ‘দেলি যুরেক’ (ওয়াইল্ড হার্ট) নামের সিরিজ। শুরুর দিকে সিরিজটির প্রতি পর্ব কাজাখিস্তানে বিক্রি হয় মাত্র ৩০ ডলারে। ‘সুলতান সুলেমান’-এর সময় তা পর্ব প্রতি ২ লাখ ডলারে দাঁড়ায়।

মেতিনের মতে, এ সব সিরিয়ালের মাধ্যমে তুরস্কের প্রতি বিশ্ববাসীর আগ্রহ বাড়ছে। যা দেশটির পর্যটন খাতে ভূমিকা রাখছে। টিভি সিরিজ হয়ে উঠেছে তুরস্কের সাংস্কৃতিক ব্র্যান্ড।

তিনি আরো জানান, সিরিয়ালের জনপ্রিয়তার পাশাপাশি তুরস্কের সিনেমাও দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উৎসবে পুরস্কার পেতে শুরু করেছে।

চলচ্চিত্র সম্পর্কিত ২০০ প্রজেক্টের জন্য চলতি বছরে তুরস্ক সরকার ৮৮ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছে। আশা করা হচ্ছে পরবর্তী বছরে তা দ্বিগুণ হবে।

বাংলাদেশের চ্যানেলে বর্তমানে প্রচার হচ্ছে জনপ্রিয় দুই সিরিজ ‘সুলতান সুলেমান’ ও ‘সীমান্তের সুলতান’। প্রচারের অপেক্ষায় আছে ‘সুলতান কাসিম’।

এদিকে ‘সুলতান সুলেমান’-এর জনপ্রিয়তায় দেশি চ্যানেলগুলো বিদেশি সিরিয়ালে ঝুঁকে পড়ায় টিভি কলা-কুশলীরা প্রতিবাদী অবস্থান নিয়েছেন। তারা সিরিয়ালটি প্রচারের দাবি জানান। এ দাবি মানা না হলেও চ্যানেল বন্ধেরও হুমকি দেন।



মন্তব্য চালু নেই