তিন পা নিয়ে জন্ম, অস্ত্রোপচারে সুস্থ চৈতি

রাজধানী ঢাকার এক ঘিঞ্জি বস্তিতে জন্ম চৈতির। আর দশটি সাধারণ শিশুর মতো পৃথিবীর আলো দেখেনি সে। অস্বাভাবিক এক শারীরিক গড়ন নিয়ে জন্ম তার। জন্মের সময় চৈতির দুটির বদলে তিনটি পা ছিল। এ ছাড়া শরীরে ছিল নানা জটিলতা।

জন্মের সেই ‘দাগ’ মুছে চৈতি এখন দিব্যি সুস্থ, অন্য সব শিশুর মতোই খেলাধুলা করে বেড়াচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, এটা চৈতির স্বাভাবিক জীবনের শুরু মাত্র।

চৈতির যখন তিন বছর, তখন একটি দাতব্য সংস্থার কর্মকর্তাদের চোখে পড়ে সে। শিশুটিকে সারিয়ে তোলার দায়িত্ব নেয় সংস্থাটি। তাদের উদ্যোগে চৈতিকে নিয়ে যাওয়া হয় অস্ট্রেলিয়ায়।

গত বছর নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ চিলড্রেন হাসপাতালে চৈতির শরীরে অস্ত্রোপচার হয়। অস্ত্রোপচারের পর তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি দেখে আশ্চর্য হন চিকিৎসক ক্রিস কিম্বার।

ক্রিস কিম্বার বলেন, ‘এটা আশ্চর্যজনক, একেবারেই আশ্চর্যজনক। আমি বিশ্বাস করি না, এত তাড়াতাড়ি সে সেরে উঠেছে।’

অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার কারণে চৈতি বাথরুমে যেতে পারত না। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চৈতির দেহে বাস করছিল তারই বোন। জন্মগত ত্রুটির কারণে আলাদাভাবে বেড়ে উঠতে পারেনি চৈতির যমজ। ফলে তার একটি পা চৈতির শরীরের সঙ্গে মিশে যায়। এ ছাড়া পেটের মধ্যে দুজন মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ছিল।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, কিম্বারের দল সফলভাবেই চৈতির অস্ত্রোপচার করেছে। ফলে আর দশজন শিশুর মতোই বেঁচে থাকতে পারবে সে। এ ছাড়া একদিন নিজেও মা হতে পারবে চৈতি।



মন্তব্য চালু নেই