তিন অর্থবছরে বিমানের লোকসান হাজার কোটি টাকা
গত তিন অর্থবছরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে এক হাজার কোটি টাকার বেশি লোকসান হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসরকারি বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
বিমানের ধারাবাহিক লোকসানের হিসাব তুলে ধরে তিনি জানান, ২০১২-১৩ অর্থবছরে সংস্থাটির মোট লোকসান ১৯১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। যা ২০১১-১২ অর্থবছরে ছিলো ৫৯৪ কোটি ২১ লাখ টাকা এবং ২০১০-১১ অর্থবছরে ছিলো ২২৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
সোমবার দশম জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় (বাজেট) অধিবেশনে শরীফ আহমেদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান।
এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বিমানের লোকসানের কারণ হিসেবে জানান, বিমানের জ্বালানি খরচ মোট পরিচালন ব্যয়ের প্রায় ৪৮ ভাগ। বিমানের মোট জ্বালানি তেলের প্রায় ৪৫ ভাগ বাংলাদেশ থেকে সংগ্রহ করা হয় এবং এই তেলে খরচ বিদেশের তুলনায় ৩০ ভাগ বেশি। বিমান বহরে নতুন উড়োজাহাজ সংযোজনের ফলে ২০১১-১২ অর্থবছরে ১১২ কোটি ৮৬ লাখ এবং ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১৮৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকা অপচয় খরচ হিসেবে যুক্ত হয়েছে। নতুন উড়োজাহাজ সংগ্রহের জন্য ঋণ গ্রহণের ফলে সুদ বাবদ ব্যয় বেড়েছে। লিজ নেয়া উড়োজাহাজের মাধ্যমে ফ্লাইট পরিচালনার ভাড়া বাবদও ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে পরিবহণ ভাড়া বাড়ানো সম্ভব না হওয়াতে বিমানে লোকসান হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড ১০টি উড়োজাহাজের মাধ্যমে কলকাতা, দিল্লী, ইয়াংগুন, ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর, হংকং, কুয়ালালামপুর, কাঠমুন্ডু, দুবাই, আবুধাবী, মাস্কাট, দোহা, কুয়েত, রিয়াদ, জেদ্দা, দাম্মাম, রোম, ফ্রাঙ্কফুর্ট ও লন্ডন এই ১৯টি আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।’
গোলাম দস্তগীর গাজীর এক প্রশ্নের উত্তরে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের অধীনে সারাদেশে মোট ৩৬টি হোটেল, মোটেল, রেস্তোরাঁ ও বার রয়েছে। এসব হোটেল, মোটেল বর্তমানে লাভজনকভাবে পরিচালিত হচ্ছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে এখাত থেকে লাভ হয়েছে ছয় কোটি ১২ লাখ ৩৩ হাজার টাকা।’
মন্তব্য চালু নেই