তারেকের দেশে ফেরা অনিশ্চিত
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক একটি দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতা দাবি করেন, বিএনপির সঙ্গে বিজেপি সরকারের সম্পর্ক উন্নতির দিকে যাচ্ছে। তবে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে বিএনপি ভারত বিরোধিতা করছে। এ কারণেই প্রায় আয়োজনে সরাসরি ভারতবিরোধীতা করছেন চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সীমান্তবর্তী সমস্যা, বিডিআর হত্যাকাণ্ড, গুপ্তহত্যাকে কেন্দ্র করে গণগ্রেফতারসহ নানা বিষয়ে রাখঢাক না রেখেই ভারতের সমালোচনা করছেন দলটির নেতারা।
সূত্রের দাবি, পরবর্তী নির্বাচনে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সমর্থন আদায়ের প্রথম শর্তই হবে তারেক রহমানকে দেশে না ফেরানো। এক্ষেত্রে ওই রাষ্ট্রের মনোভাব খালেদা জিয়া কতটা বদলাতে সক্ষম হবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছে বিএনপিতেই। জোটের ওই শরিক নেতার দাবি, ক্ষমতায় যেতে আন্তর্জাতিক হিসাব-নিকেষ ছেলের বিরুদ্ধে গেলেও তা মেনে নেবেন খালেদা জিয়া। যেকোনও মূল্যে আবার ক্ষমতায় যেতে আগ্রহী তিনি। এ বিষয়ে বিএনপির পররাষ্ট্র বিষয়ে পারদর্শী কয়েকজন নেতাকে ফোন করা হলে তারা কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সূত্রের দাবি,২০১৯ এর নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাবনা কতোটা উজ্জ্বল হবে,এর পুরোটাই নির্ভর করছে তারেক রহমান নিয়ে বিএনপির অবস্থান কি হবে-এর উপর। ফলে, লন্ডনেই দীর্ঘসময় থাকতে হতে পারে তারেক রহমানকে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেন, এটা তো উনার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিষয়। এ নিয়ে কিছু বলতে পারবো না।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তারেক রহমান লন্ডনে চিকিৎসার জন্য অবস্থান করছেন। দেশে লাখ লাখ নেতাকর্মী তার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। চিকিৎসকেরা অনুমতি দিলেই দেশে ফিরবেন তিনি।
বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, রাজনৈতিক কারণেই বিলম্বিত হচ্ছে তারেক রহমানের দেশে ফেরা। মামলা ও গ্রেফতারের আশঙ্কা থেকে স্বয়ং খালেদা জিয়াও তার দেশে ফেরার বিরুদ্ধে।
মন্তব্য চালু নেই