তামিম রেগে বললেন, তার মাথায় সমস্যা আছে
আবারও শেষ ওভারের জাদুতে ম্যাচ জিতিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। চিটাগাং ভাইকিংসকে চার রানে হারিয়ে জয়ের স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়ে খুলনা টাইটান্স। কিন্তু ম্যাচের একপর্যায়ে মনে হয়েছিল চিটাগাংই জিতে যাচ্ছে। সে অবস্থা থেকে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় উল্টো হেরে যায় তারা।
এভাবে হেরে যাওয়াটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না চিটাগাংয়ের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। রাখ-ঢাক না রেখেই সংবাদ সম্মেলনে এসে নির্দিষ্ট এক ব্যাটসম্যানকে লক্ষ্য করে বললেন, ‘ব্যাটসম্যানের মাথায় সমস্যা আছে অথবা বিপিএলে খেলার কোনো যোগ্যতা নেই।’ তবে সেই ব্যাটসম্যানের নাম বলেননি তিনি।
শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে তামিম বলেন, ‘যে ধরনের ক্রিকেট খেলছি সে ধরনের ক্রিকেট খেললে এভাবেই হারতে থাকবো। আমার কাছে তাই মনে হয়। কারণ, একটা ব্যাটসম্যানকে ২০ বার মেসেজ পাঠানোর পরও যদি সে ভুল করে তাহলে বুঝতে হবে ওর মাথায় কোনো সমস্যা আছে, স্কিলে সমস্যা নাও থাকতে পারে। এ ধরনের ক্রিকেটে এই স্টেজে যদি ডাল-ভাতের মত খাওয়ায়ে দিতে হয় তাহলে আমাকে দুঃখিত হয়েই বলতেই হচ্ছে, সে এখানে খেলার যোগ্যতাই রাখে না।’
নির্দিষ্ট কোন খেলোয়াড়কে উদ্দেশ করে এ কথা বলেছেন তা উল্লেখ করেননি তামিম। তবে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় এ তালিকায় রয়েছেন বলে জানান তিনি। এদিন শুরুতে কেভন কুপার, মাঝে শফিউল ইসলাম ও শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহর দারুণ বোলিংয়ে ভেঙে পড়ে চিটাগাংয়ের ব্যাটিং লাইনআপ। খুলনার মূল বোলারদের অতিরিক্ত চার্জ করতে গিয়ে ব্যাটসম্যানরা আউট হয়েছেন বলে জানান তামিম।
‘আমরা হেরে যেতে পারি, সামনেই হয়তো আরও হারতে পারি। তবে একটা জিনিস দেখেন, ওদের (খুলনার) মূল বোলারদের বোলিং শেষ করিয়ে ফেলেছে। তখনও দুই ওভার শর্ট ছিল। এখন আপনি যদি অপেক্ষা না করেন। মেইন বোলারকে চার্জ করতে গিয়ে আউট হয়ে যান, তাহলে তো আর এতবার ম্যাসেজ পাঠিয়ে লাভ নেই। এই লেভেলে খেলছেন, এই লেভেলে একটু হলেও ব্রেইন ব্যবহার করতে হবে।’
উল্লেখ্য, এদিন জিততে হলে শেষ ওভারে ছয় রানের প্রয়োজন চিটাগাংয়ের। মাহমুদউল্লাহর অসাধারণ বোলিংয়ে ওই ওভারে মাত্র ১ রান নিতে সমর্থ হয় চিটাগাংয়ের ব্যাটসম্যানরা। উল্টো আউট হয় তিনজন ব্যাটসম্যান। ফলে চার রানের হারের স্বাদ পেতে হয় তাদেরকে।-জাগো নিউজ
মন্তব্য চালু নেই