তামিমের সেঞ্চুরিতে শক্ত অবস্থানের দিকে টাইগাররা

তখন শুন্য রানে। রিভিও নেয়া হলো। অসফল। আবার ৮২ রানে। রিভিউ নেয়া হলো। অসফল। পাকিস্তানের দুটি রিভিউ নেয়া থেকেই বোঝা যায় তামিমক ইকবালকে বিদায় করতে কতোটা মরিয়া ছিলো পাকিস্তান। কিন্তু তামিমের দিনে তাকে চাইলেই তো বিদায় করতে পারে না। ছয় ইনিংসের মধ্যে তৃতীয় সেঞ্চুরিটা তুলে নিয়ে টেস্টে অসাধারণ ফর্মের কথাই ঘোষণা করলেন তামিম। দলের দারুণ প্রয়োজনের সময় আড়াই সেশনেই সেঞ্চুরি হাকালেন এই হার্ড হিটার ব্যাটসম্যান। পাকিস্তানের বিপক্ষে এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি। আর ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরিটা তিনি পেলেন খুলনা টেস্টের চতুর্থ দিনে। গেল বছরের শেষটায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুটি সেঞ্চুরি করেছেন তামিম।
পাকিস্তানকে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে অল আউট করেছে ৬২৮ রানে। তার মানে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে তাদের লিড ২৯৬ রানের। এতো রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমেও লড়াইয়ে পিছু হাটেনি টাইগাররা। ইনিংসের শুরু থেকেই আক্রমনাত্মক ছিলেন তামিম। তার সাথে আক্রমণে মাঝে মাঝে যোগ দিয়েছেন ইমরুল কায়েসও। এই দুজনের আক্রমণে ৪ ওভারে ২৯ রান দেওয়ার পর মোহাম্মদ হাফিজকে আর বোলিংয়ে আনার সাহস করেনি পাকিস্তান। এই রিপোর্ট লেখার সময় দিনের তৃতীয সেশনের খেলা চলছে। দ্বিতীয় সেশনে ২৭ ওভারে ১৩৬ রান তোলেন বাংলার দুই ওপেনার। শেষ খবর কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৮৩ রান বাংলাদেশের। এখনো ১১৩ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। তামিম ১০৩ ও ইমরুল ৭৮ রানে ব্যাট করছেন। তামিমের আড়ালে পড়ে যাওয়া ইমরুলও কিন্তু সেঞ্চুরির সুবাস পাচ্ছিলেন।
চতুর্থ দিনের শুরুতে বাংলাদেশের গলার কাঁটার মতো হয়ে বিঁধে ছিল সরফরাজ আহমেদ ও আসাদ শফিকের জুটি। এই জুটি দ্রুত এগিয়েছে। পাকিস্তানের রানকে তুলে দিয়েছে আরো উচ্চতায়। ৫ উইকেটে ৫৩৭ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে পাকিস্তান। সরফরাজ ও শফিক সেঞ্চুরির সুবাস পাচ্ছিলেন। কিন্তু তাদের জুটিটাকে ভাঙতে পেরেছেন মোহাম্মদ শহীদ। ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট তিনি বানিয়েছেন সরফরাজকে। ৮৮ বলে ৮২ রান করে ফিরেছেন সরফরাজ। পরের ওভারেই ওয়াহাব রিয়াজকে শূন্য হাতে ফিরিয়ে দিয়েছেন তাইজুল। শেষ ৫ উইকেট পাকিস্তান হারিয়েছে ৩৪ রানে। বাংলাদেশের বোলাররা চাপ বাড়িয়েই একের পর এক উইকেট তুলে নিয়েছেন।
শফিক তার ক্যারিয়ারে আরেকটি সেঞ্চুরি যোগ করার মতোই ব্যাট করছিলেন। কিন্তু চাপের মুখে তিনি ধরে রাখতে পারেননি নিজেকে। এই ম্যাচে শফিককে নিজের প্রথম শিকার বানিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ৮৩ রান করেছেন শফিক। শেষের দিকে পাকিস্তানের লোয়ার অর্ডার প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। পরপর দুই ওভারে তাইজুল তুলে নেন ইয়াসির শাহ ও জুলফিকার বাবরকে। ৪৬.৪ ওভার বল করে ১৬৩ রানে তাইজুল নিয়েছেন ৬ উইকেট। ৩৭ ওভারে ১৪৬ রান দিয়ে একটি উইকেট পেয়েছেন সাকিব। ৩৪ ওভারে ১২০ রান দিয়ে ২ উইকেট শুভাগত হোমের। ১৯ ওভারে ৫৯ রানে ১ উইকেট শহীদের।



মন্তব্য চালু নেই