তাদের প্রতিহত নয়, নিশ্চিহ্ন করা হবে : ইমাম

৫ জানুয়ারি নির্বাচনে জয়লাভ করার পর এবার আসল যুদ্ধে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। এই যুদ্ধে নতুন প্রজন্মসহ মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ২০ দলীয় জোটের সাম্প্রতিক নাশকতা ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে ‘রুখো সন্ত্রাস বাঁচাও দেশ’ শিরোনামে প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মুক্তিযোদ্ধা বিসিএস অফিসার কল্যাণ সমিতি এ সভার আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এইচ টি ইমাম বলেন, এই যুদ্ধে আমরা সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করব। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের কর্মীরা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে তাদের সহযোগিতা করবে। এখন আর তাদের প্রতিহত করা নয়, তাদের নিশ্চিহ্ন করা হবে। তারা দেখছে যে বাংলাদেশ ২০২১ সালের আগেই মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়ে যাবে। সে জন্য শিক্ষা-কৃষি এবং পরিবহণে মারাত্মক আঘাত হানছে। একইভাবে তারা গত বছরের ৫ জানুয়ারির আগে হামলা করেছে। সেই যুদ্ধে আমরা জয়ী হয়েছি। এখন সেই সব সন্ত্রাসী-আল কায়েদা ও জঙ্গির বিরুদ্ধে আসল যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এই যুদ্ধে অবশ্যই অংশ নেব এবং তাদের নিশ্চিহ্ন করব।’

তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপি এখন আর বিএনপি নেই। এখন যে অস্ত্রগুলো ব্যবহার করছে, সেগুলো আরো আধুনিক। আমার মনে হয় কেমিক্যাল ওয়েপনস ব্যবহার করছে। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা না পেলে তাদের এ ধরনের কাজ করা সম্ভব হতো না।’

সভায় অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত এবং হেফাজতে ইসলামের বৈশিষ্ট্য এক। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ভিত্তিগুলোতে বিএনপি-জামায়াতের কোনো সম্মান নেই। তাদের আক্রমণ একাত্তর সালকে মনে করিয়ে দেয়। এই দলের মূল উদ্দেশ্য একটি মৌলবাদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের দেশে যে সমস্ত হত্যাকাণ্ড হচ্ছে তার সঙ্গে জামায়াতের একটি সম্পৃক্ততা আছে।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা বিসিএস অফিসার কল্যাণ সমিতির সভাপতি এস কে হাবিবুল্লাহ।



মন্তব্য চালু নেই