তাওবাকারীদের জন্য সুসংবাদ

আল্লাহ তাআলা ক্ষমাশীল। তিনি বান্দাকে ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। এ জন্য তিনি কুরআনের অসংখ্য স্থানে বান্দাকে তাঁর নিকট গোনা থেকে পরিত্রাণ লাভে তাওবা করে ক্ষমা প্রার্থনার নির্দেশ দিয়েছেন। তাওবার নির্দেশ করে তিনি সঙ্গে সঙ্গে এ কথাও বলেছেন যে, তিনি অত্যন্ত ক্ষমা প্রিয়; বান্দা ক্ষমা চাইলে ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। তাই সত্য গোপনকারীসহ সকল অন্যায়কারীকে ক্ষমা লাভে তাওবার নির্দেশ দিয়েছেন। তাওবাকারীদের জন্য সুসংবাদস্বরূপ এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন-

‘কিন্তু যারা তাওবা করে নিজেদের সংশোধন করে নেয় এবং সত্য কথা প্রকাশ করে আমি তাদেরকে ক্ষমা করি; আমি যে অত্যন্ত ক্ষমা প্রিয় অতীব দয়ালু।’ (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১৬০)

পূর্ববর্তী আয়াতে আল্লাহ তাআলা কুরআনের তথ্য গোপনকারীদের ব্যাপারে সর্তক করেছেন। তাদেরকে লানত তথা অভিশপ্ত করেছেন। অতপর এ আয়াতে তাদেরকে তাওবা করে ক্ষমা প্রার্থনার নির্দেশ দিয়েছেন।

আল্লাহ তাআলা এ আয়াতে তাওবাকারীদের জন্য সুসংবাদ প্রদান করেছেন। পবিত্র কুরআনের একটি নিয়ম হলো যখনই শাস্তির কথা ঘোষণা করা হয় তখন তারই পাশাপাশি পুরস্কার লাভ, সঠিক পথ নির্দেশ এবং ক্ষমা প্রার্থনার নির্দেশ করা হয়।
পূর্ববর্তী আয়াতে ইসলাম ও বিশ্বনবির সত্যতার কথা গোপন করার পরিণাম শাস্তির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। আর এ আয়াতে এ অন্যায়কারীদেরকে তাওবা করে সংশোধণ হওয়ার সুসংবাদ দেয়া হয়েছে। তারা যদি সংশোধন হয় এবং যে তথ্য গোপন করেছে তা সত্য সত্যই প্রকাশ করে দেয় তবে আল্লাহ তাআলা তাদের ক্ষমা করে দিবেন।

হাদিসে এসেছে, ‘বান্দা কোনো গোনাহ থেকে তাওবা করার পরও যদি পুনরায় সেই গোনাহ করে এবং পরে তাওবা করে আল্লাহ তাআলা প্রত্যেকবার তাওবা কবুল করেন। বান্দা তাওবা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যায় কিন্তু আল্লাহ তআলা কখনো ক্ষমা করে ক্লান্ত হন না।

পরিশেষে…
হাদিসে ভাষায় আল্লাহ তাআলা ক্ষমা প্রার্থনাকারীকে ভালোবাসেন, গোনাহকারী বাবার অন্যায় করে বারবার তাওবা করায় কান্ত হলেও আল্লাহ তাআলা গোনাহ মাফে ক্লান্ত হন। এটা তাওবাকারীদের জন্য আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে মহান পাওয়া।

আল্লাহ তআলা মুসলিম উম্মাহকে সকল প্রকার গোনাহ থেকে ক্ষমা লাভের তাওফিক দান করুন। প্রত্যেককে তাওবার করার তাওফিক দান করুন। প্রত্যেকের তাওবা কবুল করুন। আমিন।



মন্তব্য চালু নেই