তলোয়ারবাজ বালিকা

নয় বছর বয়সী বালিকারা সাধারণত পুতুল নিয়ে খেলতেই ব্যস্ত থাকে। অথবা নকল রান্নাবান্না খেলতেই অভ্যস্ত। আরেকটু যারা চঞ্চল, তারা মাঠে ছোটাছুটি করে। কিন্তু জেসি জেমস এসবের ধারও ধারে না। তীক্ষষ্ট ফলার তলোয়ার নিয়ে খেলাই তার শখের কাজ। কিক বক্সিংয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জেসির দখলে রয়েছে নিজের বয়সের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি খেতাব। তার বেল্টে বাঁধা রয়েছে ১১৭টি মার্শাল আর্ট টাইটেল।

এ বছরই মুক্তি পাবে জেসি অভিনীত চলচ্চিত্র ‘মার্শাল আর্ট কিড’। তা ছাড়া তার হাতে রয়েছে ‘অকেনিং’ নামে আরেকটি মুভি। আর এখন সে অপেক্ষা করছে ‘ব্রিটেন’স :গট দ্য ট্যালেন্ট’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার। অডিশনের দিনই অবশ্য নিজের তলোয়ারের কেরামতি দেখিয়ে বিচারক ও দর্শক উভয়কেই তাক
লাগিয়ে দিয়েছে জেসি। এরই মধ্যে সে অর্জন করেছে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সেরার পুরস্কার।

গত শনিবার রাতে সোনালি চুলের হালকা পাতলা এই বালিকা যখন স্টেজে তার সামুরাইবিদ্যা জাহির করতে শুরু করে, তখন নিজের অজান্তেই দর্শক সমস্বরে ‘আহ’ বলে চেঁচিয়ে ওঠে। দুই বিচারক এই ‘ছোট প্যাকেট’-এর কারিকুরিকে মিষ্টি বলে বর্ণনা করলেও সেটি যে মোটেও মিষ্টি ছিল না, তা বেশ বোঝা যাচ্ছে। আইরিশ এই স্কুলছাত্রী তার পারফরম্যান্সে তলোয়ারের পাশাপাশি আর্মলেস কার্ট হোয়েল, ব্যাক ফ্লিপসহ মার্শাল আর্টের বেশ কয়েকটি মুভ দেখায়। প্রদর্শন শেষে জেসি বিচারকদের কাছ থেকে স্ট্যান্ডিং অভেশনও (দাঁড়িয়ে অভিবাদন) পায়। আর বিচারক সিমন কয়েল তো তাকে নিজের দেহরক্ষী বানানোর ইচ্ছাই প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠান দেখার পর ৮০ লাখ দর্শক তাদের মুগ্ধতার কথা শেয়ার করেছেন টুইটারে।

জেসির মার্শাল আর্ট শেখার শুরু মাত্র তিন বছর বয়সে। কিক বক্সিং, কুংফু আর তাই কো ডুতে পুরস্কার পাওয়া হয়ে গেলে গত বছর তার আগ্রহ জন্মায় তলোয়ারের প্রতি। এবার অলিম্পিক গেমসে একটা সফল ক্যারিয়ার গড়তে আশাবাদী সে।

খবর :ডেইলি মেইল।



মন্তব্য চালু নেই