তরুণীর কবরে জলজ্যান্ত ভয়ংকর বিষধর সাপ…! (ভিডিওসহ)
হযরত মাওলানা মুফতী মাহমুদ হাসান গঙ্গোহী রহ. বলেন, প্রায় পঁচিশ ত্রিশ বছর আগে পাকিস্তানে এক মহিলার মৃত্যু হয়। জানাযার পর তার লাশ যখন কবরে রাখার জন্য খাটিয়া থেকে নীচে নামানো হয় তখন দেখা যায় কবরের মধ্যে একটি ভয়ঙ্কর সাপ! বিষাক্ত এই সাপ দেখে উপস্থিত লোকজন ভয় পেয়ে যায়। তারা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। অতঃপর ঐ মহিলার জন্য দ্বিতীয় আরেকটি কবর খোড়া হয়। লাশ কবরে দেওয়ার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত দ্বিতীয় এই কবরটি খালিই ছিল। সাপ কিংবা অন্য কোনো প্রাণী সেখানে ছিল না।
কিন্তু যখনই তারা লাশ কবরে রাখতে গেল তখনই দেখা গেল উহার মধ্যেও সেই সাপ যা প্রথম কবরে ছিল। এরপর তৃতীয় কবর খোড়া হলো। তাতেও লাশ রাখার সময় প্রথম কবরের সেই সাপটি দৃশ্যমান হলো। অবস্থাদৃষ্টে সবাই বলাবলি করতে লাগল, এই লাশের জন্য যত কবরই খোড়া হউক না কেন, সব কবরেই এই সাপ চলে আসবে।
সুতরাং এই কবরেই লাশ দাফন করা হউক। কবরে রাখার জন্য আবার যখন খাটিয়া থেকে লাশ নীচে নামিয়ে আনা হলো, তখন সাপটি কবরের এক পাশে গিয়ে লাশ রাখার জায়গা করে দিল। কিন্তু যখন লাশ রাখা হলো তখন সঙ্গে সঙ্গে সাপটি লাশের মুখ থেকে কাফন সরিয়ে তার জিহ্বা পেঁচিয়ে ধরল। এই দৃশ্য দেখে উপস্থিত সকলেই আবারো পেরেশান হলো। আশ্চর্য হয়ে সবাই বলাবলি করতে লাগল, ঘটনা কি? কেন এমন হচ্ছে? লাশ দাফন করতে আসা লোকদের মধ্যে মহিলার স্বামীও ছিলেন। তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনার স্ত্রীর উপর এই আযাব আসার কোনো কারণ কি আপনি বলতে পারবেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, বলতে পারব। আমার স্ত্রী আমার সাথে অসদাচরণ করত।
আমাকে নানারকম মন্দচারী করত। বিভিন্ন উপায়ে কষ্ট দিত। কিন্তু আমি ধৈর্যধারণ করতাম। কখনও এর বদলা কিংবা প্রতিশোধ নিতাম না। তার কটুকথা ও দুঃখজনক আচরণের পরিবর্তে আমি তাকে কিছুই বলতাম না। স্বামীর কথা শুনে লোকজন বলতে লাগল, হ্যাঁ ভাই! আমরা বুঝতে পেরেছি, আপনাকে কষ্ট দেওয়ার জন্যেই আপনার স্ত্রীর এই দুরবস্থা। আপনি এখন দয়া করে তাকে মাফ করে দিন। তার জন্য মাফ প্রার্থনা করুন। নচেৎ তার রক্ষা নেই! অতঃপর মহিলার স্বামী মহান আল্লাহর দরবারে হাত তুললেন।
পড়া শেষ হলে শেয়ার করে সকল কে পড়ার সুযোগ করে দিতে ভুলে যাবেন না । ঘটনাটির অনুকরণে তৈরি করা একটি ভিডিও আপনারা দেখতে পারেন।
মন্তব্য চালু নেই