যশোরের কিছু খবর :

তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সাংবাদিক সমাবেশ

দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকার প্রকাশক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে গাড়ি পুড়িয়ে মানুষ হত্যার মামলা দেওয়ায় সোমবার বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকার সংবাদিক ও কর্মচারিরা।
সকালে যশোর প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পত্রিকাটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও বিএফইউজে’র নেতা আনোয়ারুল কবীর নান্টু।

বক্তৃতা করেন সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি নূর ইসলাম, লোকসমাজ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক রাজেক জাহাঙ্গীর, অনলাইন এডিটর সুন্দর সাহা, নজরুল ইসলাম মল্লিক, মজনুর রহমান,মনিরুজ্জামান মনি, এসএম সোহেল, আকরামুজ্জামান প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতেই দৈনিক লোকসমাজ এর প্রকাশক তরিকুল ইসলাম ও তার ছেলে পত্রিকার নির্বাহী সমপাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমুলক গাড়ি পুড়িয়ে মানুষ হত্যার মামলা দেওয়া হয়েছে। প্রকৃত অগ্নিসংযোগকারী যুবলীগ ক্যাডারদের আড়াল করতেই পুলিশ এই নাটক সাজিয়েছে। গাড়িতে আগুন দিয়ে যারা মানুষ হত্যা করেছে তাদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করে বক্তারা অবিলম্বে তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবি করেন।

বক্তারা বলেন, তরিকুল ইসলাম আজীবন মাটি মানুষের রাজনীতি করেছেন। তিনি যখনই সুযোগ পেয়েছেন তখনই যশোরের উন্নয়নের, যশোরের মানুষের উন্নয়নে কাজ করেছেন। তিনি যশোরে মেডিকেল কলেজ, যশোরে বিশ্ববিদ্যালয়, যশোরে জর্জ কোর্ট ভবন, যশোর সার্কিট হাউজের বর্ধিত ভবন, যশোর টেকনিক্যাল স্কুল, সরকারী টিটিসি, যশোর পাসপোর্ট অফিস, যশোর কাস্টমস ভবন, যশোর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালসহ নানা প্রকারের উন্নয়ন করেছেন। যশোরের রাস্তাঘাটসহ যশোর পৌরসভার সার্বিক উন্নয়নে কোটি কোটি টাকা বরাদ্ধ এনছেন। সাধারণ মানুষের কল্যানে সারাজীবন ব্যয় করেছেন। অথচ আ’লীগ সরকার সুযোগ পেলেই এই জননেতাকে হেনস্তা করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এরই ধারাবাহিকতায় এর আগে যশোর উদীচী বোমা হামলা মামলা, সাংবাদিক মুকুল হত্যা মামলাসহ একাধিক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করেছে। কিন্তু যশেঅরবাসীর ঐকান্তিক সহযোগিতায় শেষ পর্যন্ত সরকারের সকল ষড়যন্ত্র পর্যুদস্ত হয়েছে। সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক প্রমানিত হয়েছে তরিকুল ইসলাম নির্দোষ।বক্তারা আশা করেন এই ষড়যন্ত্রমুলক হত্যা মামলা ও গাড়ি পোড়ানো মামলা থেকেও তরিকুল ইসলাম, তার ছেলে অনিন্দ্য ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা মুক্ত হবেন। উন্মোচিত হবে সরকারের ষড়যন্ত্রের নীল নকসা।

সাংবাদিক সমাবেশ থেকে আগামী বৃহস্পতিবার মানববন্ধন ও রোববার জেলা প্রশাসকের দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। উল্লেখ্য গত ৭ জানুয়ারি ভোরে যশোরের খাজুরা বাসস্ট্যান্ডে দাড়িয়ে থাকা তিনটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে বাসের হেলপার মুরাদ নিহত হন। এ ব্যাপারে পুলিশ বাদি হয়ে দৈনিক লোকসমাজের প্রকাশক তরিকুল ইসলামসহ জেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের শীর্ষ পর্যায়ের ৪৯ জন নেতাকে আসামি করে ২টি মামলা দায়ের করে।

যশোরে পেঁয়াজ বোঝাই একটি ট্রাকে আগুন
যশোরে পেঁয়াজবোঝাই একটি ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করেছে দূবৃর্ত্তরা। যশোর-বেনাপোল সড়কের ধোপাখোলায় সোমবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে  ট্রাকের সামনের অংশ পুড়ে গেছে এবং কিছু পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে।
যশোর পুলিশের মুখপাত্র ও সদর সার্কেলের সিনিয়র এএসপি রেশমা শারমিন জানান, সাতক্ষীরা থেকে ছেড়ে আসা ট্রাকটি ঢাকায় যাওয়ার পথে দূবৃর্ত্তরা এ হামলা চালায়। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ট্রাকচালক ছবদুল হোসেন জানান, ট্রাক আসতে দেখে মাঠের ভেতর থেকে একদল দূর্বৃত্ত ছুটে এসে ট্রাকটি অবরোধ করে তাতে অগ্নিসংযোগ করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ট্রাকের চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে যশোরের ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন।

যশোরে ছাত্রদল ও জামায়াতের দুইজন আটক
যশোর কোতয়ালি থানা ও চাঁচড়া ফাঁড়ি পুলিশ পৃথক অভিযান চালায়। এ সময় ছাত্রদল নেতা ও জামায়াতের এক কর্মীকে আটক করেছে।আটককৃতরা হচ্ছে যশোর শহরের শংকরপুর আশ্রম মেড় এলাকার মৃত মমিনুল ইসলামের পুত্র রেজানুল ইসলাম রিয়াল ও যশোর সদরের দেয়া পাড়ার হাবিবুল্লাহর পুত্র মইনুল হক।
সোমবার বিকেলে চাঁচড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জামাল সদরের দেয়া পাড়া এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় জামায়াতের কর্মী মইনুল হককে আটক করে। অপর দিকে যশোর কোতয়ালি থানার এসআই শোয়েব উদ্দিন ওই দিন জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক রেজানুল ইসলাম ওরফে রিয়াদকে আটক করে।

প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন
যশোর সদরের ক্ষিতিবদিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ক্রয় করা জমি ওই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা জোর পুর্বক দখল করে নিয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে সামবার সকালে প্রেসক্লাব যশোরে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন।

এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগি রফিকুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিতছিলেন রফিকুল ইসলামের বাবা মৃত ইদ্রিস আলিসহ পরিবারের লোকজন। লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন রফিকুল ইসলামের বাবার ক্রয় করা জমিতে আমির আলীকে ওই জমিতে থাকতে দেয়।  কিছুমিন পরে ওই জমি ছাড়তে বললে আমির আলী তাদের জমি ছেড়ে না দিয়ে প্রাণ নাশের হমকী দেয়। জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আমির আলী ও তার পুত্র হযরত আটক হয়। জেল থেকে বেরিয়ে তারা আবরও বিভিন্ন হুমকি ধামকি অব্যহত রেখেছে। এ ঘটনায় সামবার সকালে প্রেসক্লাব যশোরে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন।

আবিদুর রেজা খান



মন্তব্য চালু নেই