তবে কি নিষিদ্ধ হচ্ছেন আনুশকা শর্মারা?
ইংল্যান্ডে সদ্য সমাপ্ত টেস্ট সিরিজে মহেন্দ্র ধোনির দলের বাজে পারফরম্যান্স নিয়ে খুব ক্ষুব্ধ ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। এজন্য কঠিন কিছু সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনাঢ্য ক্রিকেট বোর্ডটি।
এর মধ্যে অন্যতম একটি এজেন্ডা হলো সিরিজ চলাকালীন সময়ে খেলোয়াড়দের বান্ধবী কিংবা স্ত্রী-কে ড্রেসিং রুমে নিষিদ্ধ করা। অর্থাৎ, আলোচিত এই প্রস্তাবটি পাশ হলে কোনো সিরিজ চলাকালে আনুশকা শর্মা কিংবা সাক্ষী ধোনিরা চাইলেই বিরাট কোহলি কিংবা এমএসডির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন না।
দেশটির বিভিন্ন টেলিভিশন ও সংবাদপত্র প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে, ক্রিকেটারদের মনোযোগ শুধুমাত্র খেলার মধ্যে ধরে রাখতে কঠিন এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে বোর্ড। অবশ্য প্রকাশ্যে এখনো বিষয়টিকে অস্বীকার করে আসছে বিসিসিআই।
অনেক দিন ধরে এটা ঐতিহ্য যে খেলা চলাকালে ক্রিকেটারদের বউ কিংবা বান্ধবীরা গ্যালারি উজ্জল করবে। কিন্তু এই রীতেতে ছেদ টানতে পারে বোর্ড। কারণ অনেকের দাবি, সুন্দরী বউ ও বান্ধবীরা গ্যালারিতে থাকলে কখনো ক্রিকেটারদের মনসংযোগে একটু হলেও ব্যাঘাত ঘটে।
কিন্তু খেলোয়াড়দের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা কী খুব ইতিবাচক কিছু বয়ে আনতে পারবে? পরিসংখ্যান কিন্তু নিরাশ করছে। গেল ২০১৪ বিশ্বকাপে যেসব দল বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে সেক্সের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল তারা খুব বেশি ভালো ফলাফল লাভ করতে পারেনি।
এই তালিকায় বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, মেক্সিকো ও রাশিয়ার নাম বলা যেতে পারে। তবে যেসব দল সেক্সকে অবাধ স্বাধীনতা দিয়েছিল তারা কিন্তু ভালো ফল লাভ করেছে। যেমন জার্মানি কিংবা নেদারল্যান্ডস। সংক্ষিপ্ত এই তালিকায় থাকবে আর্জেন্টিনার নামও।
এখন দেখাই যাক বিসিসিআই নিজেদের গৌরব ফেরাতে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করে কিনা?
মন্তব্য চালু নেই