তথ্যসেবা কেন্দ্রে থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার : অপরদিকে স্বামীর নির্যাতনে স্ত্রীর মৃত্যু

ভোলার লালমোহনে ইউনিয়ন পরিষদের তথ্যসেবা কেন্দ্র থেকে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপরদিকে স্বামীর নির্যাতনে বিষপানে আত্মহত্যা করে ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের পারভীন নামের এক গৃহবধূ। পৃথক এ দুই মৃত্যুকে পরিকল্পিত হত্যা বলে হত্যা মামলা দায়ের করেছে স্বজনরা। শনিবার সকালে সদর লালমোহন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সোহাগ (২৭) নামে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। সোহাগ উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মো. মোস্তফা মিয়ার ছেলে। সে প্রথম বিয়ে করে পৌর এলাকার নয়ানীগ্রাম। তার ১ ছেলে আছে। পরবর্তীতে দুই মাস আগে লালমোহন ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে আবার বিয়ে করে ওই স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকা চলে যায়। ২/৩ দিন আগে দ্বিতীয় স্ত্রীকে ঢাকায় রেখে সোহাগ বাড়িতে আসে। প্রথম পক্ষের স্ত্রী খবর পেয়ে সোহাগকে শুক্রবার নয়ানীগ্রাম আনায়। সেখানে ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ কয়েকজন সালিশ মিমাংসার জন্য সোহাগকে লালমোহন ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আলমগীরের কাছে রাখে। আলমগীর রাতে থাকার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার আব্দুর রবের কাছে তাকে তুলে দেয়। ওই চৌকিদার পরিষদের তথ্য সেবা কেন্দ্রে সোহাগকে রেখে তালা মেরে চলে যায়। সকালে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ দেখে থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
লালমোহন থানার ওসি মো. আকতারুজ্জামান ঘটনাস্থলে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনকে নিয়ে দরজা ভাঙ্গার ব্যবস্থা করেন। দরজা ভাঙলে ভেতরে সোহাগের লাশ জানালার সঙ্গে ঝুলন্ত পাওয়া যায়। এ ঘটনায় সোহাগের বাব মো. মোস্তফা মিয়া অভিযোগ করেন, তার ছেলেকে প্রথম পক্ষের স্ত্রী মরিয়ম ও তার ভাইয়েরাসহ তাদের বাড়িতে নিয়ে হাত পা বেঁধে মারপিট করে। পরে পরিকল্পিতভাবে পরিষদে নিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় তিনি প্রথম পক্ষের স্ত্রীসহ ৫জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। অপরদিকে ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের গাইমারা গ্রামে স্বামী জামালের মারপিটের কারণে বিষপানে মৃত্যুবরণ করে ৩ সন্তানের জননী পারভিন (৩০)। শুক্রবার বিকেলে বিষপান করা অবস্থায় লালমোহন হাসপাতালে আনা হলে সেখান থেকে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। ভোলা সদর হাসপাতালে গভীর রাতে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা যায় ওই গৃহবধূ। এ ঘটনায় পারভীনের বাবা মো. রুহুল আমিন বাদী হয়ে পারভীনের স্বামীকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
লালমোহন থানার ওসি মো. আক্তারুজ্জামান জানান, দু’টি ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তর জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দু’টি ঘটনারই সুষ্ঠু তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।



মন্তব্য চালু নেই