‘ঢাকার প্রার্থী খালেদা জিয়া নির্ধারণ করবেন’

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, ‘ঢাকা সিটি নির্বাচনে কাদের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হবে সেটি খালেদা জিয়াই নির্ধারণ করবেন। তবে এ বিষয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, জাতির যে সংকটাবস্থা চলছে তা থেকে উদ্ধারের জন্য যাদেরকেই প্রার্থী করা হোক তাদেরকে মেনে নেওয়া হবে। দলের সবাই মিলে তাদেরকে বিজয়ী করে সরকার পতনের আন্দোলনকে আরও তরান্বিত করা হবে।’

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে শুক্রবার রাতে শত নাগরিক কমিটির আট সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে খন্দকার মাহবুব হোসেন এ সব কথা বলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন।

বৈঠক শেষে অধ্যাক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, ঢাকার দুটি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে গত পরশু আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে কথা বলেছিলাম। সেখানে যে সব দাবি দাওয়া জানানো হয়েছে আজকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে সেগুলো তাকে অবহিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হলে কমিশনকে লেভের প্লেইং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। আমরা সিইসির কাছে এই দাবি জানিয়ে এসেছি। একই সঙ্গে বিএনপির যেসব নেতার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ইসির পক্ষ থেকে তাদের জামিনের ব্যবস্থা করে নির্বাচনে অংশগ্রহণেরও ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু এ সব দাবি পূরণে এখনও কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।

ড. এমাজউদ্দীন বলেন, ‘খালেদা জিয়াও চান, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যাতে ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করত পারেন। এখানে যেনো কোনো ধরনের রাজনৈতিক প্রভাব না থাকে। সে জন্য লেভের প্লেইং ফিল্ড তৈরির দাবি জানিয়ে এসেছি।’

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে সিটি নির্বাচন ছাড়াও নিখোঁজ সালাহ উদ্দিন আহমেদের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, সালাহ উদ্দিনের মতো এক জন সাবেক অফিসার ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী নিখোঁজের বিষয়ে কোনো তথ্য জানতে পারছি না। এটা গভীর উদ্বেগের। বিষয়টি নিয়ে আমরা আতংকে আছি।’

খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেওয়া শত নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, সিনিয়র সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ, ঢাবির সাবেক প্রো-ভিসি আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার, ডক্টর এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সদস্য ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, ব্যারিস্টার ফাহিমা নাসরীন।



মন্তব্য চালু নেই