ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের কুড়িগ্রামের বালু চরে মিষ্টি কুমড়ার ক্ষেত পরিদর্শন
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের বহ্মপুত্রের বালু চরে উৎপাদিত বাণিজ্যিক মডেলের মিষ্টি কুমড়ার ক্ষেত পরিদর্শন ও ভুমিহীন পরিবারের মাঝে নিউট্রেশনের প্যাকেজ বিতরন করেছেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।
সোমবার দুপুরে চিলমারী উপজেলার বহ্মপুত্রের অববাহিকার রমনার চরে প্রাকটিক্যাল এ্যাকশন বাংলাদেশের উদ্যোগে ভুমিহীনদের দিয়ে উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া ক্ষেত ঘুরে দেখেন তিনি। এসময় শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর আনোয়ারুল হক, প্রফেসর মিজানুর রহমান, প্রফেসর সাইফুল ইসলাম, প্রফেসর ড. হাসানুজ্জামান ও প্রফেসর ড. ফরহাদ হোসাইন, প্রাকটিক্যাল এ্যাকশনের নিউট্রেশন ম্যানেজার হাবিবুর রহমান ও ম্যানেজার নির্মল চন্দ্র ব্যাপারী উপস্থিত ছিলেন।
পরে রমনা বাঁধ এলাকায় জেলায় ভুমিহীন ২৫শ পরিবারের ১১ হাজার ২শ ৫০ জন সদস্যের মাঝে নিউট্রেশনের প্যাকেজ বিতরনের উদ্বোধন করেন।
চলতি অর্থ বছরে প্রাকটিক্যাল এ্যাকশন তার সহযোগী সংগঠন ইউডিপিএস এর মাধ্যমে ইউএসএআইডি সহায়তায় সিকিউরিং ওয়াটার ফর ফুড প্রকল্পের আওতায় ৯৯৬ ভুমিহীন দারিদ্র কৃষক রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলায় ২৫৮ হেক্টর পতিত বালু চরে অংশগ্রহন ভিত্তিক বাণিজ্যিক মডেলে মিষ্টি কুমড়া উৎপাদন করছে।
এছাড়াও ইউকেএইড ফান্ডের সহায়তায় পাম্পাকিন এগেনেষ্ট পোভাট্রি প্রকল্পের আওতায় ২১০১ জন ভুমিহীন দরিদ্র কৃষক রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলায় ২০০ হেক্টর বালুচরে মিষ্টি কুমড়া উৎপাদন করছে।
মিষ্টি কুমড়ার ক্ষেত পরিদর্শন করে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, তিস্তা এবং ব্রহ্মপুত্র এলাকায় বালুর যে স্তর আছে, বালুর নীচে যে চাষ করার পদ্ধতিটি সেটি কার্যকরী হয়েছে। এটি সার্বজনীন একটি পদ্ধতি হিসেবে গ্রহনযোগ্য হয়েছে। এই পদ্ধতি ফলো করে বাংলাদেশের ১ লাখ ৮০ হাজার হেক্টর চরের বালু জায়গা রয়েছে তা কাজে লাগানো সম্ভব। এসব এলাকায় যারা ভুমিহীন তাদের কাজে লাগাতে পারলে দেশের ১২শ কোটি টাকা আয়ের একটি পথ তৈরি হবে।
মন্তব্য চালু নেই