ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধার, এখনো অনেকে নিখোঁজ
অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে শতাধিক যাত্রী নিয়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এরমধ্যে কুতুবদিয়ায় উদ্ধার হয়েছে ৩২জন এবং মহেশখালীতে ১০জন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় ডুবে যাওয়ার ট্রলারটি উদ্ধার করে তীরে আনা হলেও এখনো নিখোঁজ আছেন অনেকে। সেখানে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে নৌবাহিনী এবং কোস্টগার্ড।
এদিকে কুতুবদিয়ায় জীবিত উদ্ধার ৩২ যাত্রী হলেন- নারায়নগঞ্জ জেলার মৃত হাসান আলীর পুত্র মো.আবুল কালাম (৩২), একই জেলার রতনের পুত্র শাহাদাত (১৭), হযরত আলীর পুত্র মো. শফিক (২০), আরজু সিকদারের পুত্র মোহাম্মদ শরীফ সিকদার(২৬), শুক্কুর আলীর পুত্র মো. কাউছার (২০), যশোর জেলার তফাজ্জল তরফদারের পুত্র মো.নাজিম উদ্দিন (৩৫), একই জেলার মোহাম্মদ আলীর পুত্র ছাত্তার হোসেন (৩০), মোরশেদ আলীর পুত্র খোকন হোসেন (২৫), আব্দুল জব্বারের পুত্র সিরাজুল ইসলাম(২৬), কফিল উদ্দিনের পুত্র সবুজ হোসেন (১৮), জয়নাল মিয়ার পুত্র ইয়াছিন হোসেন (২৮), হোসেনের পুত্র সুজন হোসেন (১৮), সৈয়দ হোসেনের পুত্র মো.রফিকুল ইসলাম (৪৬), নুর মোহাম্মদের পুত্র আবুল হোসেন (২৬), লুৎফর রহমানের পুত্র আলমগীর হোসেন, মজিবর রহমানের পুত্র মো.ফায়েজ (২৬), বগুড়া জেলার রজিব মন্ডলের পুত্র রুবেল হোসেন (১৮), কক্সবাজার সদর পশ্চিম পোকখালীর মো.ইয়াসিন হোসেন (১৭), একই এলাকার জাফর আলমের পুত্র ইসমাইল হোসেন (৩৫), মকবুল আহমদের পুত্র ওবায়দুল হক (৩৫), নরসিংদী জেলার মানিক মিয়ার পুত্র গোলাপ মিয়া (২৫), আফজাল মিয়ার পুত্র আলামিন হোসেন (১৯), মৃত মোস্তফার পুত্র ইউছুফ হোসেন (২০), আব্দুল মান্নানের পুত্র শাহজাহান মিয়া (৩৪), চাঁন মিয়ার পুত্র মোশাররফ হোসেন (২৩), আব্দুল ছাত্তারের পুত্র শিমুল হোসেন, মাদারীপুর জেলার ইদরিস মাতবরের পুত্র ইব্রাহিম হোসেন (২৫), ইসকান্দার মোল্যার পুত্র উজ্জল মোল্যা (৩০), মৃত কুদ্দুস মোল্যার পুত্র শহিদুল ইসলাম (২৩), সাবেদ আলী মাতবরের পুত্র দুলাল হাসান (২৬), কাদের শেখের পুত্র নেয়ামত শেখ (২৪)।
কোস্টগার্ডের পূর্ব জোনের জোনাল অপারেশন কর্মকর্তা লে. কমান্ডার ফজলুল করিম জানান, উদ্ধার হওয়া ট্রলারটি নৌ-বাহিনীর ডুবুরী দল তল্লাশি চালিয়েছে। এতে ট্রলারের ভিতরে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণে ট্রলারটি ডুবেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, ওই ট্রলারে ৭০-৮০ জনের মতো মালয়েশিয়াগামী যাত্রী ছিল। এদের মধ্যে ৪২ জনকে বিভিন্নভাবে উদ্ধার করা হলেও অন্যরা এখনো নিখোঁজ রয়েছে এবং তাদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরো জানান, চট্টগ্রাম থেকে কোস্টগার্ডের উদ্ধার যান তানভীর ও তৌহিদ এবং নৌ-বাহিনীর উদ্ধার যান অতন্দ্র ও অপরাজেয় জাহাজসহ কোস্টগার্ডের আরো দুটি ছোট ট্রলার উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া স্থানীয় জেলেদের ট্রলারগুলো উদ্ধার অভিযানে সহযোগিতা করছে।
কুতুবদিয়ার ওসি আংসাই থোই জানান, নানাভাবে ৩২ যাত্রী উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের মধ্যে চারজন দালাল রয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের বর্তমানে কুতুবদিয়া থানায় রাখা হয়েছে।
এদিকে মহেশখালী থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, ট্রলার ডুবির ঘটনায় মহেশখালীর মাতারবাড়ি থেকে ১০জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয়জনকে মহেশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, উদ্ধার হওয়া ১০জনের মধ্যে ২ জন দালাল বলে যাত্রীরা জানিয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজারের কুতুবুদিয়া চ্যানেলের খুদিয়ারটেক পয়েন্টে মালয়েশিয়াগামী এফবি ইদ্রিস নামের ট্রলার বোট ডুবে যায়। এটি চট্টগ্রামের মাঝিরঘাট থেকে রওনা দেয় বুধবার রাত দু’টার দিকে এবং বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে তা সাগরে ডুবে যায়।
মন্তব্য চালু নেই