ডিবি পুলিশের হাতে মাহির আগের বিয়ের কাগজপত্র, অন্তরঙ্গ ভিডিও ফুটেজ উদ্ধার
চলচ্চিত্র নায়িকা মাহিয়া মাহি ও তার আগের (দ্বিতীয়) স্বামী শাহরিয়ার শাওনের বিয়ের কাগজপত্র এখন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)’র হাতে। এছাড়া বাড্ডার বাসা থেকে শাওনের একটি কম্পিউটার, একটি ট্যাব ও দুটি মোবাইল ফোনসেটও জব্দ করেছে ডিবি।
রিমান্ডে ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে শাওন দাবি করেছেন, ২০১৫ সালে বাড্ডার কাজী অফিসে বিয়ে করেন শাওন ও মাহি। উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে একই ক্লাসে পড়তেন তারা। তখন থেকেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
ডিবির সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, শাওনের কম্পিউটার থেকে মাহি ও শাওনের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ ভিডিও ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আর জানান, মাহি-শাওনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ফেসবুকে আপলোড করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন শাওন। তার দাবি, স্ত্রী হিসাবে মাহির অনুমতি নিয়েই এসব ছবি আপলোড করা হয়েছে।
এদিকে মাহির দাবি, তার অনুমতি না নিয়েই ওইসব ছবি ফেসবুকে আপলোড করা হয়েছে। এতে তার সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। তাই তিনি শনিবার রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় তথ্য-প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা দায়েরের পর শনিবার রাতেই ডিবির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ছানোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম দক্ষিণ বাড্ডার ক/১৩ নম্বর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে শাওনকে গ্রেফতার করে। রোববার দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে ডিবি।
শাওন স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। তার বাবার নাম নজরুল ইসলাম। তিনি একজন ব্যবসায়ী।
শাওন ডিবিকে জানায়, কলেজ জীবন থেকেই মডেল ও অভিনেত্রী হওয়ার শখ ছিলো মাহির। চলচ্চিত্র নির্মাণকারী একটি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তার সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে ২০১২ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে তার।
তার দাবি, চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরুর পরও তাদের ভালো সম্পর্ক ছিল। মাহির সিনেমার শ্যুটিং স্পটেও যেতেন শাওন। সিনেমার প্রযোজক থেকে শুরু করে পরিচালকরা জানতেন মাহির স্বামী শাওন।
শাওন জানান, গত বছর থেকে তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হতে থাকে। সম্প্রতি সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ অপুর সঙ্গে মাহির তৃতীয় বিয়ে হয়। এরপর থেকেই সব প্রেক্ষাপট দ্রুত পরিবর্তন হয়ে যায়।
জানা গেছে, মাহি প্রথমবার বিয়ে করেছেন চলচ্চিত্রে আসার আগে ২০১০ সালে। পাত্রের নাম পলাশ। এক বছর পর ডিভোর্স হয়ে গেলে ২০১৫ সালে শাওনকে বিয়ে করেন এ অভিনেত্রী।
সর্বশেষ ২৪ মে গোপনে ব্যবসায়ী অপুকে বিয়ে করেন মাহি। খবর প্রকাশ হয়ে গেলে ২৫ মে গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন তিনি।
এর রেশ কাটতে না কাটতেই ২৭ মে বিভিন্ন অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় চাউর হয়, মাহি আগেও দুইবার বিয়ে করেছেন। বিশেষ করে শাওনের আপলোড করা ছবি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।
গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘মাহি-শাওন স্বামী-স্ত্রী হয়ে থাকলেও তাদের গোপন ছবি ফেসবুকে আপলোড করা সমাজের জন্যও ক্ষতিকর। তাদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক আছে কি না তা আমাদের দেখার বিষয় নয়। অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি আপলোড করার বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।’ সুত্র : যুগান্তর
মন্তব্য চালু নেই