ডায়েট ফলো করতে পারছেন না কিন্তু ওজন কমাতে চান?

আপনি হয়তো একজন ব্যস্ত মা, না হয় একজন কর্মজীবী নারী অথবা ওজন কমানোর জন্য কিছু করতে অলসতা অনুভব করেন আপনি। কিন্তু তারপরও চান ওজন কমাতে! আপনি হয়তো বলবেন – নিজের জন্য আলাদা কিছু রান্না করার সময় আমার নেই, বাচ্চাদের জন্য ক্যান্ডি ও চিপস আনা হয় যা দেখে আমি নিজে এগুলো না খেয়ে পারিনা, মিষ্টি কিছু না খেয়ে আমি থাকতে পারিনা এবং শর্করা জাতীয় খাবার ও আমি বাদ দিতে পারবোনা ইত্যাদি ইত্যাদি। এতে বোঝা যায় যে আপনার ওজন কমানোর ইচ্ছা আছে কিন্তু আপনার পক্ষে ডায়েট ফলো করা সম্ভব নয়। আসুন তাহলে এমন কিছু সহজ টিপস এর কথা জেনে নিই যা আপনার অতিরিক্ত ওজন ঝরাতে সাহায্য করবে।

১। গ্রিনটি পান করুন

বিভিন্ন গবেষণায় এটি প্রমাণিত হয়েছে যে যারা গ্রিনটি পান করেন না তাদের তুলনায় যারা পান করেন তাদের ক্যালরি পোড়ে বেশি। এই পার্থক্যের কারণ হচ্ছে মেটাবোলিজম বৃদ্ধি পাওয়া। গ্রিনটিতে ক্যাটেচিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা মেটাবোলিজম বা বিপাকের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

২। গ্লাস ভরা ক্যালরি গ্রহণ এড়িয়ে চলুন

জুস, সোডা, কফি এবং লো ক্যালরি পানীয় পান করা সীমিত করুন। চিনি বোঝাই পানীয় ফ্যাটের বিপাকে বাঁধা দেয়। ফলে ক্যালরি পোড়া কঠিন হয়ে পড়ে।

৩। এক সেট হালকা ভারোত্তলক কিনুন

বিশ্বাস করুন এটি কিনে আপনাকে পরিতাপ করতে হবেনা। আপনার হয়তো জিমে যাওয়ার মত সময় নেই, তাই এটিই সবচেয়ে ভালো উপায়। স্ট্রেংথ ট্রেনিং চর্বিহীন পেশী টিস্যু গঠনে সাহায্য করে এবং ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করে। আপনার পেশী যত চর্বিহীন হবে তত দ্রুত আপনি স্লিম হবেন। এই ছোট ছোট হালকা ওজনের ভারোত্তলক যেমন- ডাম্বেল দিয়ে বাসায় নিজে নিজেই ব্যায়াম করুন।

৪। লবণ এড়িয়ে চলুন

লবণে সোডিয়াম থাকে যা পানি ধরে রাখে বলে আপনাকে ফুলতে সাহায্য করে। তাই সোডিয়াম গ্রহণ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। স্যুপ, কৌটার খাবার, পানীয় এবং লবণাক্ত স্নেক্স যেমন- চিপস, বিস্কুট ও প্যাকেটজাত খাবার সোডিয়ামের গোপন উৎস। তাই এই ধরণের খাবার যতোটা পারেন এড়িয়ে যান।

৫। খাবারে মসলা যুক্ত করুন

মরিচ বিপাকের হার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ঝাঁঝালো খাবার যেমন- লাল মরিচে ক্যাপসেইসিন থাকে যা অ্যাড্রেনালিন এর নিঃসরণ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই হরমোন বিপাকের গতি বৃদ্ধি করে এবং ক্যালরি পোড়ানোর সামর্থ্যও বৃদ্ধি করে। এছাড়াও মরিচ ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে। তাই আপনার সবজি ও সালাদে মরিচ যোগ করুন আর দেখুন কত দ্রুত আপনার ওজন কমে।

এছাড়াও যে কাজগুলো আপনার ওজন কমতে সাহায্য করবে তা হল – পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো প্রয়োজন। না হলে বিপাকের হার কমে যায়। রাতের খাবারের আগে ৩০ মিনিট হাঁটলে বিপাকের হার বৃদ্ধি পায়। সব বেলার খাবার খান। প্রতিদিন ২০ মিনিট হালকা ব্যায়াম করলে আনুমানিক ৭০০ ক্যালরি পুড়ে। তাই লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি বেয়ে উঠুন, হেঁটে অফিসে বা বাস স্ট্যান্ডে যান। সর্বশেষে বলা যায় পানি পান করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করলে ওজন কমানোর প্রক্রিয়ার গতি বৃদ্ধি পায় ও সহজ হয়।



মন্তব্য চালু নেই