ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ৪টি ওয়ার্ডে ৩ মাস ধরে পানি সরবরাহ বন্ধ

পাম্প বিকল হয়ে পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় তিন মাস ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ঠাকুরগাঁও পৌরসভার চারটি ওয়ার্ডের জনসাধারন। পানির অভাবে প্রতিদিনের কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছেন এসব ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। এদিকে সরবরাহ বন্ধ থাকলেও পানির বিল দিতে হচ্ছে গ্রাহকদের । পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, পানির সংকট সমাধানে আরো দুই মাস অপেক্ষা করতে হবে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার কলেজপাড়া ও রোড এলাকার দুটি পাম্প অকেজো হয়ে যায়। এতে কলেজপাড়া থেকে ঠাকুরগাঁও রোড এলাকা পর্যন্ত ৯, ১০, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজপাড়া, গোবিন্দনগর, মুন্সিরহাট, ইসলামনগর ও রোড এলাকায় পানি সরবরাহ তিন মাস ধরে বন্ধ রয়েছে।সরবরাহ না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পৌরসভার পাঁচ সহস্রাধিক মানুষ। পানির অভাবে প্রতিদিনের কাজকর্মসহ চলতি গ্রীষ্মকালের প্রখর রোদে যেন দুর্ভোগের শেষ নেই এলাকার মানুষের। ঠাকুরগাঁও রোড ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুর রহমান ও খাদেমুল ইসলাম জানান, পৌরসভা থেকে পানির বিলের কাগজ দিচ্ছে তিন মাস ধরে। সে বিলের কাগজ ছিড়ে ফেলেছি।

পিয়ারা বেগম জানান, পানি সরবরাহ না থাকায় সমস্যায় ভুগছি। টিউবওয়েল চেপে পানি তুলে কাজ করতে হচ্ছে। কলেজপাড়ার বাসিন্দা সিদ্দিকা বেগম জানান, পানির বিল মওকুফের বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।মুন্সিরহাট এলাকার কফিল উদ্দিন জানান, দূর থেকে পানি এনে বাড়ির সকল কাজ করতে হচ্ছে।১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর একরামুদ্দৌলা পানি সরবরাহ না থাকায় তার ওয়ার্ডের গ্রাহকরা সমস্যায় আছেন জানিয়ে বলেন, পানির বিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করা হয়েছে।পানি সরবরাহ বন্ধ থাকলেও নিয়মিতই পানির বিলের কাগজ যাচ্চে গ্রাহকদের কাছে। এ নিয়ে বিল সরবরাহকারীদের সঙ্গে প্রায় সময়ই বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরছেন গ্রাহকরা।

পানির সুবিধা বঞ্চিত এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, পানি সরবরাহে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও পৌর কর্তৃপক্ষ অবহেলা করছেন। তারা পানি সরবরাহ বন্ধ থাকা মাসগুলোর পানির বিল প্রত্যাহারেরও দাবি জানান। বিল মওকুফের বিষয়ে পৌরসভার সচিব ও প্যানেল মেয়র পৃথক মত প্রকাশ করেন। ঠাকুরগাঁও পৌরসভার সচিব মজিবর রহমান জানান, পানি সরবরাহ না থাকলে নিয়ম অনুয়ারী গ্রাহকদের বিল সরবরাহ করতে হবে। আগামী দুই মাসের মধ্যেই পানির যে সমস্যা আছে তা সমাধান করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্যানেল মেয়র দৌপদী দেবী আগরওয়ালা জানান, পানির বিল মওকুফের বিষয়ে মেয়রের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডে ২০ হাজার হাউজহোল্ডে বসবাস করে ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ। গ্রাহকদের প্রতি মাসে ১৪০ থেকে ১৭০ টাকা করে বিল পরিশোধ করতে হয়। পানি সুবিধা নিশ্চিত করতে পাঁচটি পাম্প বসানো হলেও সচল আছে তিনটি। আরো পাঁচটি পানির পাম্প বসিয়ে পানির সেবা নিশ্চিত করতে কাজ চলছে বলে জানায় পৌর কর্তৃপক্ষ।



মন্তব্য চালু নেই