ঠাকুরগাঁওয়ে যৌতুকের কারণে জীবন দিল রানী
শরিফুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ॥ আঠারো মাস আগে ফয়জুলের সঙ্গে রানী আক্তারর বিয়ে হয়। বিয়ের পর দুই মাস সুখে সংসার চলছিল তাদের। কিন্তু তারপর দফায় দফায় বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে বলতো ফয়জুল। টাকা না আনলেই নির্যাতন।
মাঝে মধ্যে কিছু টাকা আসলেও ক্ষান্ত হয়নি ফয়জুল। সোমবার (২২ আগস্ট) রানীকে তার বাবার বাড়ি থেকে নির্যাতন করে জোরপূর্বক ফয়জুল তার বাসায় নিয়ে আসেন। পরে বুধবার (২৪ আগস্ট) রানীর মৃত্যুর খবর তার শ্বশুর বাড়িতে পাঠায় ফয়জুল। ঘটনাটি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ফখদনপুর কসাই পাড়া এলাকায় ঘটেছে।
কিন্তু স্বামীর পরিবারের দাবি অসুস্থতাজনিত কারণে রানীর মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে, রানীর পরিবারের দাবি তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। এ নিয়ে চলছে দুই পরিবারের মধ্যে লাশ নিয়ে টানাহেচড়া।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ফকদনপুর কসাইপাড়া গ্রামের আলমের ছেলে ফয়জুল ইসলামের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী কৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুস সালামের মেয়ে রানী আক্তারের ১৮ মাস আগে বিয়ে হয়।
এ বিষয়ে মেয়ের বাবা আব্দুস সালাম জানান, আমার মেয়েকে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। বিয়ের পর থেকেই ফয়জুল যৌতুকের জন্য প্রায় অত্যাচার করতো।
ফয়জুলের বাবা আলম জানান, রানী কিছুদিন আগে থেকে অনেক অসুস্থ ছিল। এজন্য সে মারা গেছে।
ঠাকুরগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া এ মৃত্যু সম্পর্কে কিছু বলা যাবে না। প্রতিবেদন পাওয়ার পর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য চালু নেই