ট্যানারি সরানোর আলটিমেটামে অনড় শিল্পমন্ত্রী
রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি শিল্প সরাতে যে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু তাতে তিনি অনড় রয়েছেন।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর বসুন্ধরার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে তিনটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ট্যানারি মালিকদের ৭২ ঘণ্টার সময় দেয়া হয়েছিল। সেই সময়সীমা আজ শেষ হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যেও যারা তাদের ট্যানারি হাজারীবাগ থেকে সাভারে সরিয়ে নেননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্ত্রী জানান, তাদের জন্য সাভারে যে প্লট বরাদ্দ ছিল তা বাতিল করা হবে। এছাড়া হাজারীবাগের কারখানা বন্ধ করে দেয়া হবে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, আমি আইন ভঙ্গকারী ট্যানারি মালিকদের কাছে উকিল নোটিশ পাঠাতে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি।
আমু বলেন, “প্লট স্থানান্তর নিয়ে ছেলেখেলা করা যাবে না। এ ছেলেখেলা বন্ধ করতে হবে। হাজারীবাগে ট্যানারি শিল্প থাকার কারণে বুড়িগঙ্গাসহ আশপাশের পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, উনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেছেন।”
শিল্পমন্ত্রী বলেন, “আন্তর্জাতিকভাবে বাজার ধরতে হলে হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি শিল্প সাভারে স্থানান্তর করতেই হবে। আমাদের কাছে বহু দেশি-বিদেশি কোম্পানি প্লট বরাদ্দ চাচ্ছে। কিন্তু যাদের আগে বরাদ্দ দেয়া হয়ে গেছে তাদের কয়েকবার সুযোগ দেয়া হয়েছে। তারপরও তারা যদি আজকের মধ্যে স্থানান্তর না করে তাহলে তাদের প্লট বাতিল করা হবে।”
এর আগে বিভিন্ন সময় হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি সরাতে সময় বেঁধে দিলেও অনেক মালিক তা মানেননি। গত ডিসেম্বরের মধ্যে হাজারীবাগ থেকে সব ট্যানারি শিল্প সাভারে স্থানান্তরের কথা থাকলেও তা হয়নি। অবশেষে গত সোমবার শিল্পমন্ত্রী ট্যানারি মালিকদের ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। এই সময়ের মধ্যে ট্যানারি না সরালে কারখানা বন্ধ এবং সাভারের প্লট বাতিলের হুঁশিয়ারি দেন।
এই আলটিমেটামে নড়েচড়ে বসেন ট্যানারি মালিকরা। তারা মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য বারবার চেষ্টা চালান। তবে মন্ত্রী ট্যানারি মালিকদের সঙ্গে দেখা না করে সাফ জানিয়ে দেন, এই সময় আর বাড়ানো হবে না।
ট্যানারি মালিকরা বলছেন, এত অল্প সময়ে পুরো কারখানা স্থানান্তর করা কোনো ক্রমেই সম্ভব হবে না। এজন্য তারা কমপক্ষে এক বছরের সময় চান। এক বছর না হলেও অন্তত ছয় মাস দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন ট্যানারি শিল্প মালিকরা।
মন্তব্য চালু নেই