টেস্ট মর্যাদা রক্ষার কঠোর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি বাংলাদেশ
শেষ পর্যন্ত শঙ্কাই বাস্তবে রুপ নিল। তিন মোড়লে নতুন করে বিন্যস্ত বিশ্ব ক্রিকেটের প্রশাসক সংস্থা আইসিসির সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়েকে এখন থেকে সহযোগী দেশগুলোর টেস্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তির কঠোর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। সুত্র: এনডিটিভি
বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত বোর্ড নির্বাহী মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে তা সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতি আকারে প্রকাশ করা হয়। নতুন এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইসিসি ক্রিকেটকে আরও সম্প্রসারিত করার লক্ষ্য নিয়ে সহযোগী ও সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ক্রিকেটকে আরও ছড়িয়ে দেয়ার জন্য বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মতো নিচের সারির দলের সঙ্গে তাদেরকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেট খেলার সুযোগ করে দেয়া হবে। ফলে ভালো নৈপূণ্য দেখিয়ে আইসিসির পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ অর্থাৎ টেস্ট স্ট্যাটাসও প্রাপ্তির সুযোগ থাকবে তাদের সামনে।
প্রতি চার বছর পর পর এ জন্য ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ আয়োজন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে সহযোগী দেশগুলো যেমন নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মতো দলগুলোকে খেলার সুযোগ করে দেয়া হবে। ফলে নতুন শক্তির আবির্ভাবেরও সুযোগ থাকছে ক্রিকেট বিশ্বে। সেক্ষেত্রে ব্যর্থ পূর্ণ সদস্য দেশটির কি হাল হবে তা নিশ্চিত করেনি আইসিসি। তবে আইসিসি ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) ইতিমধ্যেই ২০২৩ সাল পর্যন্ত নির্ধারিত হয়ে আছে। নতুন কোন শক্তির উদয় হলে স্বাভাবিকভাবেই সে দেশকে সুযোগ করে দেয়ার জন্য বিজিত পূর্ণাঙ্গ দেশটিকে যে উপেক্ষিত হতে হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
আইসিসি বোর্ড মিটিংয়ে প্রস্তাব রাখা হয়, ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সময়কালে যে দেশটি আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের দশম স্থানে থাকবে তার সঙ্গে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ বিজয়ী দেশের মধ্যকার একটি সিরিজ আয়োজন করা হবে। এ সিরিজে সহযোগী দেশটি ভালো ফল করলে তাকে পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ দেয়া যেতে পারে। ২০১৮ সালে প্রস্তাবিত এ সিরিজ অনুষ্ঠানের ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আরো সিদ্ধান্ত হয়, ইন্টার-কন্টিনেন্টাল কাপ জয়ী দলটি ঘরের মাঠে দুটি ৫ দিনের ম্যাচ এবং প্রতিপক্ষের মাঠে আরও দুটি ৫ দিনের ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে।
আইসিসি বৈঠকে সদ্য সমাপ্ত আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট সফলভাবে আয়োজন করার জন্য স্বাগতিক বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি), বাংলাদেশ সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী ও সর্ব স্তরের জনসাধারণকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানানো হয় এ বৈঠকে। আইসিসি নির্বাহী মিটিং আরো বিস্তারিত আঙ্গিকে আগামী জুনের শেষ পর্যায়ে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত হবে। সে বৈঠকে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানানো হয়।
মন্তব্য চালু নেই