টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ১৪ বছর
১০ নভেম্বর ২০১০। বাংলাদেশিদের জন্যে গর্বের একটি দিন। কারণ এদিন বাংলাদেশ তাদের প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে স্বাগতিক বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল ভারত।
বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট ম্যাচের অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দূর্জয়। সে সময়কার বিসিবি সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর হাত ধরে বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাস অর্জন করে।
আজ টেস্ট ক্রিকেটে ১৪ বছর পূর্তি হলো বাংলাদেশের। ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফি জয়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটের গতিপথ হঠাৎ করেই বদলে যায়। এই ট্রফি জয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে এবং প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে স্কটল্যান্ড ও শক্তিশালী পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে তাদের আগমনী বার্তা ঘোষণা করে।
এরপর বাংলাদেশের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০০০ সালের ২৬ জুন আইসিসি বাংলাদেশকে টেস্ট মর্যাদা প্রদান করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০০ সালের ১০ নভেম্বর প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ।
১৪ বছর পূর্তির দিনে র্যাঙ্কিংয়ে ৯ নম্বরে উঠে সেরা সাফল্যেই ভাসছে বাংলাদেশ। এর আগেও বাংলাদেশ টেস্টে র্যাঙ্কিংয়ে ৯ নম্বরে ছিল। কিন্তু সেটি নিজেদের যোগ্যতায় নয়। ২০০৬ সালে টেস্ট ক্রিকেট থেকে প্রায় ছয় বছরের জন্যে নিজেদের সরিয়ে নেয় জিম্বাবুয়ে। এর ফলে টেস্ট খেলেছে ৯টি দেশ। স্বাভাবিকভাবেই ৯ নম্বরে থেকেছে বাংলাদেশ।
কিন্তু এবার জিম্বাবুয়েকে টানা ২ টেস্টে হারিয়েই যোগ্যতা দেখিয়ে প্রথমবারের মতো র্যাঙ্কিংয়ে ৯ নম্বরে উঠেছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ৮৭টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে জয় এসেছে ছয় ম্যাচে। হার হয়েছে ৭০টিতে। আর ড্র করেছে ১১ ম্যাচে।
দেশের মাটিতে তিনটি ও দেশের বাইরে তিনটি টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ। প্রথম টেস্ট খেলার পাঁচ বছর পর ২০০৫ সালে চট্টগ্রামের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জিতে বাংলাদেশ। এরপর অপেক্ষা করতে হয় আরো চার বছর ।
২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্ট জিতে বাংলাদেশ। এরপর ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চতুর্থ টেস্ট জয়ের পর ঘরের মাঠে এবছর টানা দুই টেস্ট জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ।
১৪ বছরে ৪৪ টেস্ট সিরিজ খেলে ৩টিতে জয় বাংলাদেশের। ৩৯টিতে হারে। আর ২টি টেস্ট হয় ড্র। অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে টেস্টে বাংলাদেশের ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ডের মতো দলগুলো ১৪ বছরে কোন টেস্টই জিততে পারেনি!
পরিসংখ্যানে সাফল্যের থেকে ব্যর্থতার পাল্লাই বেশি ভারি বাংলাদেশের। তবে আশার কথা হচ্ছে, বাংলাদেশ ক্রিকেট এখন এগিয়ে যাচ্ছে। সঠিক পথে হাঁটছে টাইগাররা। মুশফিক, রিয়াদ, সাকিব, তামিম ও মুমিনুল বাংলাদেশকে নতুন সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
মন্তব্য চালু নেই