টেকনাফ বাহার ছড়ায় খাস জমিতে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলেন প্রশাসন

টেকনাফ বাহার ছড়া ইউনিয়নের আছার বনিয়ায় অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদ করলেন উপজেলা প্রশাসন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর সকালে উপজেলা নিবার্হী অফিসারের প্রতিনিধির নেতৃত্বে পুলিশ, ভূমি অফিস ও বন বিভাগের যৌথ উদ্যেগে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে ৮টি টিনশেড দ্বারা নির্মিত শেড ভেঙ্গে দেওয়া হয়। বাকী ২০/২৫ টি শেড ভেঙ্গে ফেলার জন্য ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বেধেঁ দেওয়া হয়। উল্লেখ্য যে, বাহার ছড়া ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতি মৌঃ আজীজ উদ্দীন অবৈধ ভাবে বন বিভাগ ও খাস জমিতে জোর পূর্বক স্থাপনা তৈরী করে জঙ্গির আস্তনা গড়ে তুলেছেন মর্মে সংবাদে প্রশাসন উচ্ছেদ করলেন এ শেডগুলো।

এ ব্যাপারে মৌঃ আজীজ উদ্দীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি আছার বনিয়া এলাকার মৃত আজিজুর রহমানের ওয়ারিশ হতে আর-এস খতিয়ান ৫৩৯/২০৭ মূলে জমি ক্রয় করে ৪ টি শেড তৈরী করেছি। বাকী শেড আজিজুর রহমানের ওলি ওয়ারিশদের।

আমার প্রতিপক্ষ আসন্ন ইউপি নিবার্চনকে কেন্দ্র করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আমি প্রশাসনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নিজেই প্রশাসনকে অনুরোধ করে শেড ভেঙ্গে দিচ্ছি। এদিকে বন বিভাগের শামলাপুর বিট কর্মকর্তা তৌফিক জানায়, এ পাহাড়ী টিলা মূলত বন বিভাগের নহে। ইহা হচ্ছে ভূমি মন্ত্রণালয়ের খাস খতিয়ান ১ এর জমি। স্থানীয় প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনায় আমাদের কাছে চিঠি দেওয়ায় আমরা অংশ নিয়েছি।

বাহার ছড়ার পুলিশ ফাড়িঁর আই,সি এস, আই বিল্লাল জানায়, আমার উর্ধতনের নির্দেশে অভিযানে অংশ নিয়েছি। জমি জমা হচ্ছে কাগজ পত্রের বিষয়। ইহা উপজেলা প্রশাসন সিদ্ধানত নেবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী অফিসার শাহ মোজাহিদ উদ্দীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ গুলো খাস খতিয়ান ১ এর জমি বিধায় ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। এদিকে জমির পৈত্রিক সূত্রে মালিক নুরুল কবির জানায়, আমরা বি-এস সংশোধনের জন্য মহামান্য আদালতে গত ২০১৩ সালে মামলা করেছি। যা বিচারাধীন রয়েছে। এ অবস্থায় আমাদের কিছু ওয়ারিশগণ মৌঃ আজিজ উদ্দীনকে জমি বিক্রি করিয়েছে।

ঐ জমিতে তিনি কিছু শেড তৈরী করে ভাড়া দেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে এলাকার লোকজন জানায়, বাহার ছড়া ইউনিয়নে আরও নতুন নতুন শেড তৈরী হয়েছে এবং হচ্ছে। এগুলোতে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদেরকে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে বিধায় রোহিঙ্গারা অনুপ্রাণীত হয়ে আরও শত শত রোহিঙ্গা বাহার ছড়া ইউনিয়নে এসে ভিড় জমাচ্ছে।

তারা টেকনাফ বাহারছড়া সৈকত সড়কের মনখালী খালের উপর ব্রিজের দক্ষিণ ও সড়কের পূর্ব-পশ্চিম দিকে অবস্থান নিয়ে শুধুর শাপলাপুর বাজার, পুরান বাজার, দক্ষিণ শীলখালীর সী-বীচ এলাকা পর্যন্ত দখলে নিয়েছে এবং নতুন নতুন শেড তৈরী করছে। বন বিভাগ কর্তৃক সবুজ বেষ্টনি ঝাউবাগান ধ্বংস করে এর উপর নির্মিত করছে বাড়ি ঘর। ফলে ধ্বংস হচ্ছে বন ভূমি বিনষ্ট হচ্ছে পরিবেশ।



মন্তব্য চালু নেই