টেকনাফে নতুন রূপে বৃক্ষরোপন জরুরী

টেকনাফে ঘূর্ণিঝড় কোমেনের আঘাতে বৃক্ষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি নতুন রূপে বৃক্ষরোপন জরুরী হয়ে পড়েছে। উপজেলা ও পৌর এলাকা পরিদর্শন করে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে প্রধান সড়ক থেকে আরম্ব করে গ্রামীণ সড়কের সৃজিত গাছ শূন্য হয়ে পড়েছে। যে গাছের মাধ্যমে সড়ক দূর্ঘটনা রোধ করা যেত বর্তমানে ইহা না থাকায় ঘনঘন দুর্ঘটনার আশংকা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় জনগণ।

গ্রামীণ সড়কের গাছ-পালা ছাড়াও বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলে, অফিস, আদালত প্রাঙ্গনে, বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্টান প্রাঙ্গনে ও স্থানীয় লোকজনদের মালিকানাধীন বাগানের গাছ-পালা ধ্বংস হয়ে পড়েছে। আবার কিছু কিছু হেলে পড়েছে। সে গুলোও কেটে ফেলা জরুরি হয়ে পড়েছে।

বিভিন্ন গ্রামের খোজঁ নিয়ে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড়ে আঘাতে গাছ-পালা পড়ে যাওয়ায় তারা বেশী হতাশ হয়ে পড়েছে। আবার কেউ কেই বলেন আমাদের “হামায়ন্না পুত মারা গেছে”। তাদের সংসারের অর্থের কিছু অংশ মেটাত গাছের ফল বিক্রি করে। যে মৌসুম আসুন না কেন তারা সে মৌসুমের ফল বিক্রি করে সংসারের খরচ বহন করত। আম, জাম, কাঠাঁল, লিছু ও বিভিন্ন ফল বাজারে বিক্রি করে বিত্ত পরিবার তাদের সংসারে কিছুটা ব্যয়ভার বহন করত। ইদানিং ঘূর্ণিঝড়ে ভেঙ্গে যাওয়ায় এরা চিন্তিত হয়ে পড়েছে।

এ সমস্ত লোকজন নতুন করে গাছ-পালা লাগার জন্য পরিকল্পনা নিলেও চারা সংকটের কারনে বাগান সৃজন করতে পাছেনা। তাই এলাকার লোকজন বাংলাদেশ বনবিভাগ ও কৃষি বিভাগের মাধ্যমে চারা সরবরাহ দিলে নতুন করে বাগান সৃজন করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।



মন্তব্য চালু নেই