টেকনাফে আ.লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
কক্সবাজার জেলার টেকনাফ সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সিরাজুল ইসলামকে (৬৫) গুলি করে হত্যা করেছে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে তার স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার জোহরা (৫২)।
রোববার রাত দেড়টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নতুন পল্লান পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সিরাজুল ইসলাম টেকনাফ সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য।
নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে টেকনাফ থানার ওসি মো. আব্দুল মজিদ জানান, আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম নিজের শোয়ার ঘরের জানালা খোলা রেখে রাতে ঘুমিয়ে পড়েন। একই খাটে তার স্ত্রীও ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত দেড়টার দিকে জানালা দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা গুলি করে। এতে তিনি ও তার স্ত্রী গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় তাদের শোর-চিৎকারে বাড়ির অন্য লোকজন ঘুম থেকে জেগে উঠলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
গুলিবিদ্ধ ২ জনকে স্বজনরা উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিরাজুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও জানান, অপর গুলিবিদ্ধ ইয়াছমিন আক্তারকে টেকনাফ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের আব্দুল হাকিম লোকজন পাঠিয়ে গুলি করে এ খুন করিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা স্বজনদের।
স্বজনদের উদ্ধৃতি দিয়ে ওসি জানান, টেকনাফের পল্লান পাড়ায় অনেক বছর আগে থেকে বসবাস করে আসছে মিয়ানমারের নাগরিক আব্দুল হাকিম। পূর্ব থেকে তার সঙ্গে সিরাজুল ইসলামের বিরোধ ছিল। তবে কী নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ ছিল তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা সম্ভব হয়নি।
ওসি মজিদ জানান, এ হত্যাকাণ্ডের অনুসন্ধান চলছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের পৃথক টিম অভিযান চালাচ্ছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই