টেকনাফে অস্ত্র লুটের ঘটনায় ২জন আটক, উদ্ধার হয়নি একটিও অস্ত্র: এলাকায় আতংক

ফয়েজুল ইসলাম রানা, টেকনাফ: গত ১২মে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মৌচনী রেজিষ্ট্রার্ড রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের আনসার ক্যাম্পে একদল শসস্ত্র রোহিঙ্গা (আর,এস,ও) ও একজন পাকিস্তানী জঙ্গি ১জন আনসার কমান্ডারকে গুলি করে ১১টি আগ্নে অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সড়াশী অভিযানে নামে। দীর্ঘ প্রায় ১মাস অভিরাম অভিযান পরিচালনা করে টেকনাফের রঙ্গিখালীর আবছার ও মৌলভী ফারুককে উখিয়া কুতুপালং থেকে আটক করে। এদেরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে আনসারদের অস্ত্র লুটের মূল রহস্য।

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, আটক দু’জনের কাছ থেকে ঘটনার দিন লুট হওয়া আনসারদের ম্যানি ব্যগ ও বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়। এরই সূত্র ধরে এগোতে এগোতে শেষ প্রান্তে গিয়ে দুই আটক হোতা লুটকৃত অস্ত্রের আসল বর্ণনা প্রদান করেন বলে পুলিশ সূত্রে জানায়।

বর্তমানে অস্ত্র গুলো মিয়ানমারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে আটককৃত ফারুক ও আবছার জানালেও স্থানীয় লোকজনদের মধ্যে উদ্যেগ উৎকন্ঠা এখনো কেটে যায়নি।

টেকনাফসহ গোটা কক্সবাজার জেলার দক্ষিণাঞ্চলের লোকজন নিরাপত্তাহীনতার আশংকায় রয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন জানায়। এদের একটি মাত্র দাবী অস্ত্র উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আতংক কেটে যাচ্ছেনা।

এ ছাড়া এলাকার সচেতন মহলের মতে, দীর্ঘ অনেক বছর মিয়ানমারের আরকান প্রদেশের লোকজনদেরকে মুসলমান বিধায় পূর্ব পাকিস্তান থেকে আরম্ব করে বর্তমানে স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ পর্যন্ত আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে দুধ কলা দিয়ে পুশচ্ছেন। এরা আমাদেরকে অর্থ্যাৎ বাংলাদেশীদেরকে বারংবার ছোবল মারছে। এরা হচ্ছে আমাদের জন্য কাল সাপ। ১৯৬৫সাল থেকে আরম্ব করে ১৯৯১সাল পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা নাগরিক মিয়ানমারের সামরিকজান্তার অত্যচারের কল্পকাহিনী দেখিয়ে বারংবার এই দেশে শরনার্থী সেজে প্রবেশ করেছে। যতই বারেই প্রবেশ করেছে ততই বারেই স্ব-স্ব সরকার উভয় দেশের সাথে ও জাতী সংঘের মাধ্যমে এদেরকে স্বদেশে প্রত্যাবাসন করেছে। বিগত ১৯৯১সালে আসা প্রায় ২লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরনার্থীকে পূর্বের কায়দা অনুযায়ী স্বদেশে প্রত্যাবাসন করলেও প্রায় আরও টেকনাফ উখিয়া দুটো ক্যম্পের ১৮হাজারের চেয়ে বেশী শরনার্থী এদেশে রয়ে যায়। বাংলাদেশ এবং জাতীসংঘ শরনীর্থী বিষক সংস্থা এদেরকে শ্রমবিহীন ভাবে লালন পালন করে আসচ্ছেন। এরা নিজের দেশে সীমাহীন জ্বালা যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে এই দেশে এসে আশ্রয় পায়। কিন্তু এরা এমন বর্বরজাতী যে প্লেটে খাদ্য খায় সে প্লেট ধ্বংস করে ফেলে। ঠিক একই অবস্থা আনসার লুটের ঘটনা।

এলাকার সচেতন মহলের দাবী চট্টগ্রাম সহ টেকনাফ পর্যন্ত জানা অজানা অনেক আরএসওর সংগঠন এখনও গোপন স্থানে রয়েছে। এদেরকে স্বদেশ এবং বিদেশের অনেক সংস্থা আর্থিক ও শসস্ত্র সহযোগিতা দিয়ে আসচ্ছেন। ফলে এরা দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে।

এদেশের কিছু রাজনৈতিক সংগঠন ও নেতা জড়িয়ে থাকতে পারে। এদেরকে চিহ্নিত করে আরএসও সংগঠনের মূল ঘাটি ও এদেও পরিচালনাকারীদের মূল ধ্বংস না করলে এদেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব বিনষ্ট হতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন এলাকার সচেতন মহল।



মন্তব্য চালু নেই