টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ‘কঠিন’ গ্রুপে বাংলাদেশ

আগামী বছরের ১১ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে অনুষ্ঠিত হবে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ষষ্ঠ আসর এটি। ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের এ আসর বসেছিল বাংলাদেশে। চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল শ্রীলঙ্কা।

র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী আইসিসির শীর্ষ আট দল সরাসরি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় পর্বে বা সুপার টেন খেলবে। বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়েকে খেলতে হচ্ছে বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড।

প্রথম রাউন্ডে ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড ও ওমান। প্রথমবারের মত ওমান বিশ্বকাপে খেলছে। ‘বি’ গ্রুপে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে খেলবে স্কটল্যান্ড, হংকং ও আফগানিস্তান।

দুই গ্রুপ থেকে দুই শীর্ষ দল সুপার টেনে খেলবে। গ্রুপ ‘এ’র শীর্ষ দল খেলবে গ্রুপ-২ এ। সুপার টেনে গ্রুপ-১ এ রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। অন্যদিকে গ্রুপ ‘বি’ এর শীর্ষ দল খেলবে গ্রুপ-১ এ। এই গ্রুপে রয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড।

বাংলাদেশ টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হচ্ছে। প্রথম পর্বে নেদারল্যান্ডস ও আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এ দুই দলকে দুর্ধর্ষ বলা চলে। টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডের কাছে হারের তিক্ত স্বাদ রয়েছে বাংলাদেশের। অন্যদিকে নেদারল্যান্ডস টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গত আসরে ইংল্যান্ডকে চট্টগ্রামে হারিয়েছিল ৪৫ রানে। এ ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ছয় রানে হেরে গিয়েছিল তারা।

এ দুই দলকে টপকে সুপার টেনে খেলতে পারলে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হবে দুই প্রাক্তন টি-টোয়েন্টি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারত ও পাকিস্তান। তাদের সঙ্গে রয়েছে ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্ট অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড।

প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। ৯ মার্চ বিকেলে ধর্মশালায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। পরের দুটি ম্যাচ যথাক্রমে ১১ মার্চ ও ১৩ মার্চ। প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড ও ওমান। দুটি ম্যাচই রাতে অনুষ্ঠিত হবে।

এবারের আসরে পুরুষ ক্রিকেট দলের ম্যাচ হবে ৩৫টি। নারী ক্রিকেট দলের ম্যাচ হবে ২৫টি। প্রথমবারের মত পুরুষ ও নারী ক্রিকেট দলের ম্যাচ একই ভেন্যুতে হবে। শুক্রবার দুপুর ২টায় মুম্বাইতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি প্রকাশ করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই