টিক্কাখানের পরেই হাসিনার স্থান : রিজভী

আন্দোলন দমনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে কঠোর মনোভাব দেখিয়েছেন তার তীব্র সমালোচনা করে বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘ইতোমধ্যে শেখ হাসিনা সারাদেশে যে রক্তপাতের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা টিক্কা খানের পরই তার স্থান হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘অসদাচারণ ও অসম্মান করে নিবিঘ্নে রাজত্ব করা যাবে না। মানুষের অবদমিত ক্রোধ এখন গগনবিদারী বিস্ফোরণে ফেটে পড়ছে। প্রধানমন্ত্রী যতোই কঠোর হাতে আন্দোলন দমানোর হুমকি দেন না কেন সত্য ও ন্যায়ের সৈনিকরা বহ্নিমান মৃত্যু আর নিজেদের ঢেলে দেয়া রক্তের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ও মানুষের স্বাধীনতাকে রক্ষা করবে।’
শনিবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন রিজভী আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা পর্বতের মতো অবিচল, ধ্রুব নক্ষত্রের মতো আমাদের লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ।’
বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, ‘সরকার গ্যাসের দাম বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এবারে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি হলে গৃহস্থালী গ্যাসের দাম অর্থাৎ সিঙ্গেল ও ডাবল চুলার দুটিরই দাম দুইগুণ বৃদ্ধি পাবে। এতে করে জনদুর্ভোগ বাড়বে।’
ঈদকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা রাস্তায় রাস্তায় কোরবানির গরু থেকে চাঁদাবাজি করছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী আহমেদ।
সংবাদ সম্মেলনে নগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সহ স্বেচ্ছাসেবব বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর শরফত আলী শপু, যুবদল নেতা আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালে নিষ্ঠুরতার সাথে বালুচিস্তানে বিদ্রোহ দমনের নামে হত্যাযজ্ঞ চালার জন্য ‘বেলুচিস্তানের কসাই’ নামে কুখ্যাতি অর্জন করেন টিক্কা খান। ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান সামরিক শাসক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বেলুচিস্তানের মতোই নিরস্ত্র নিরীহ বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নিষ্ঠুর সামরিক হামলা পরিচালনা করে। এ জন্য তাকে ‘বাংলার কসাই’ও বলা হয়।



মন্তব্য চালু নেই