টার্গেট ৩১৯ রান
রান প্রসবা হিসেবে নেলসনের এই মাঠের ভালো সুনাম রয়েছে। টস জিতে বাংলাদেশ ব্যাটিং না নিয়ে ভুলই কী করল! সেই হিসাব হয়তো ম্যাচ শেষেই মেলানো যাবে। আপাতত বাংলাদেশের সামনে উপস্থিত হয়েছে ৩১৯ রান পাড়ি দেওয়ার বড় চ্যালেঞ্জ। ছোট মাঠ আর ব্যাটিং উইকেটের সুবিধা কাজে লাগিয়ে কাইল কোয়েটজারের সেঞ্চুরিতে বৃহস্পতিবার স্কটল্যান্ড ৮ উইকেটে ৩১৮ রান করেছে।
টসে হেরে ব্যাট করতে নামা স্কটল্যান্ডকে শুরুর ধাক্কাটা দেন মাশরাফি। ম্যাকলেওড (১১) ক্যাচ দেন মাহমুদউল্লাহর হাতে। দশম ওভারে তাসকিন ফেরান গার্ডিনারকে (১৯)। তৃতীয় উইকেটে কোয়েটজারের সঙ্গে ৭৮ রানের জুটি গড়েন মাচান। ৩৫ রান করে মাচান সাব্বিরের শিকার হন। অধিনায়ক প্রেস্টন মমসেনকে নিয়ে দলকে বড় রানের ভিত গড়ে দেন কোয়েটজার। তারা দুজন ১৪১ রানের জুটি গড়েন।
তিনশো রানটা তখনই হাতের নাগালে চলে আসে স্কটিশদের। মাশরাফি, সাকিব, তাসকিন, রুবেলরা ব্যর্থ হলেও বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন নাসির হোসেন। ইনিংসের ৪৩তম ওভারে দলীয় ২৫৭ রানে নাসিরের বলে মমসেন ক্যাচ দেন সাকিবের হাতে। তিনি ৩৯ রান করেন।
মমসেন ফিরলেও বাংলাদেশকে পোড়াচ্ছিল কোয়েটজারের ব্যাট। স্পিনাররা ছাড়া সব পেসারকেই নির্বিঘেœ খেলে গেছেন তিনি। আইসিসি সহযোগী দেশগুলোর ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। ৫৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা কোয়েটজার ১০৩ বলেই পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। যা বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের পক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত এই স্কটিশ ওপেনারকে আউট করতে পেরেছে বাংলাদেশ। নাসিরের বলে সৌম্য সরকারের হাতে ধরা পড়েন তিনি। তার আগে ১৩৪ বলে ১৭টি চার ও ৪টি ছয়ে ১৫৬ রানের ইনিংস খেলেন।
শেষ দিকে বেরিংটনের ২৬, ক্রসের ২০ রানে তিনশো পার হয় স্কটল্যান্ড। আর গোটা ইনিংসেই এই সময়টাতেই বাংলাদেশ যা একটু খোলা মনে হাসার সুযোগ পেয়েছে। ৪৯তম ওভারে বেরিংটন, ক্রস তাসকিনের শিকার হন। শেষ ওভারে সাকিবও পেয়ে যান উইকেটের দেখা। মাজিদ হক ধরা পড়েন সৌম্যর হাতে। চারটি ক্যাচ এদিন তালুবন্দি করেন সৌম্য। যদিও পেস বোলিং অলরাউন্ডার সৌম্যকে এক ওভারও বল করতে দেখা যায়নি। যেখানে নাসির, সাব্বিরকে দিয়ে বোলিং করিয়েছেন মাশরাফি। তাসকিন ৪৩ রানে ৩টি, নাসির ২টি, মাশরাফি, সাকিব, সাব্বির ১টি করে উইকেট পান।
মন্তব্য চালু নেই