টানা ৩২ ম্যাচে অপরাজিত বার্সার সামনে আর্সেনাল
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোতে রাতে মাঠে নামছে দুই জায়ান্ট বার্সেলোনা ও বায়ার্ন মিউনিখ। ইংলিশ জায়ান্টদের ঘরের মাঠ এমিরেটসে খেলবে গতবারের চ্যাম্পিয়ন বার্সা। আর তুরিনে গার্দিওলার দলকে আতিথেয়তা দেবে জুভেন্টাস।
গত কয়েক বছরে বড় আসরের সাফল্যের নিরিখে ইউরোসেরার যুদ্ধে বাকিদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে বার্সা, বায়ার্ন। তার পরও যখন প্রতিপক্ষ আর্সেনাল কিংবা জুভেন্টাস, তখন মহাশক্তিধর দলেরও সতর্ক না হয়ে কোনো উপায় নেই। বার্সা কোচ লুইস এনরিকের কথাতেই তা সুস্পষ্ট।
গার্নারদের সম্পর্কে শিষ্যদের সাবধান করে দিয়ে এনরিকে বলেছেন, ‘আর্সেনাল আমাদের জন্য পরিস্থিতি কঠিন করে তুলবে, এ নিয়ে সন্দেহ পোষণ করার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের সমস্যায় ফেলার সামর্থ্য তাদের ভালোমতোই আছে।’
জুভেন্টাসকে নিয়েও একই সমীহ বায়ার্ন শিবিরের। দলটির আক্রমণভাগের অন্যতম সেরা অস্ত্র থমাস মুলারের ভাষায়, ‘৮০ শতাংশ সময় বলের দখল রেখে খেলব, জুভেন্টাসের বিপক্ষে এমনটা যেন কেউ না ভাবে। আমরা মনে করি, তুরিনে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি।’
মুখোমুখি লড়াইয়ে অবশ্য আর্সেনালের চেয়ে পাল্লাটা অনেক ভারী বার্সার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দুই দলের ৭ লড়াইয়ে বার্সার চার জয়ের বিপরীতে আর্সেনালের জয় মাত্র এক ম্যাচ। বাকি দুটো ম্যাচ ড্র। আর্সেনালের এই একমাত্র জয়টি ২০১০-১১ মৌসুমে। শেষ ষোলোর ওই পর্বে প্রথম লেগে ১-২ গোলে হারলেও দ্বিতীয় লেগে আর্সেনালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শেষ আটের ছাড়পত্র আদায় করে নেয় বার্সা।
এর আগের মৌসুমে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে গানারদের বিদায়ঘণ্টা বাজায় মেসিরা। ২০০৫-০৬ মৌসুমে আর্সেনালকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জেতে তারা। সব কথার এক কথা বার্সার সামনে খুবই অনুজ্জ্বল আর্সেন ওয়েঙ্গারের শিষ্যরা। মেসি-সুয়ারেজ-নেইমার ত্রিফলার তো এখন একটাই কাজ— গোল উৎসব করা।
সর্বশেষ সাত ম্যাচে ১২ গোল করেছেন সুয়ারেজ। সাত ম্যাচে মেসির গোল ছয়। গত শনিবার লা লিগায় নেইমারের গোলে লাস পালমাসকে ২-১ গোলে হারিয়েছে বার্সা। টানা ৩২ ম্যাচে অপরাজিত লুই এনরিকের বার্সেলোনা, এই বাস্তবতা এড়াবেন কীভাবে আর্সেনাল কোচ?
মন্তব্য চালু নেই