বন্ধ রয়েছে সি-ট্রাক চলাচল

টানা বর্ষন আর জোয়ারের উচ্চতা বৃদ্ধি মনপুরার নিম্মাঞ্চল প্লাবিত, হাজারো মানুষ পানিবন্ধি

ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরায় গত ৭ দিনের টানা বর্ষন এবং মেঘনার জোয়ারের পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বেড়ীবাঁধের বাহিরের গ্রামগুলোসহ চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। জলমগ্ন এলাকার মানুষ বর্তমানে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষকের ফসলি জমি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৬ই জুন দুপুর থেকে মনপুরার মেঘনায় পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তলিয়ে গেছে মনপুরার মূল ভূ-খন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন কলাতলীচর, ঢালচর, চরনিজাম ও চর শামসুদ্দিন। এছাড়া মূল ভূখন্ডের হাজিরহাট ইউনিয়নেরর চরজ্ঞান, চর যতিন, দাসেরহাট, সোনারচর জোয়ারে পানিতে ডুবে রয়েছে। মনপুরা ইউনিয়নের আন্দিরপাড়, পূর্ব আন্দিরপাড়, রামনেওয়াজ বাজার, লঞ্চঘাট ও ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা পানিতে ডুবে রয়েছে।

এসব এলাকার মানুষ প্রচন্ড কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছে। বর্তমানে তারা দুবেলা দুমুঠো খেতেও কষ্ট হচ্ছে। রমজানের এই সময়ে প্লাবিত এলাকার বাসিন্দারা খেয়ে না খেয়ে রোজা রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। বর্তমানে তাদের কষ্টের যেন শেষ নেই।

এদিকে দুর্যোগপূর্ন আবহাওয়ার কারনে জেলার সাথে যোগাযোগের একমাত্র নৌযান যাত্রীবাহি সী-ট্রাক বন্ধ রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে শতশত যাত্রী।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারি প্রকৌশলী আবুল কালাম ফোনে জানান, পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মনপুরার চরফৈজুদ্দিন ও সাকুচিয়ার সংযোগস্থলে নতুন স্ুইজ গেট নির্মান করা হলে মূল-ভূখন্ডের মানুষ পানিবন্দী থেকে মুক্তি পাবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হেকিম ফোনে জানান, মেঘনার পানি বিপদ সীমার ৭৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে চরাঞ্চল সহ অনেক এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এতে করে পানি বন্দী হয়ে পড়েছে মনপুরার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের অন্তত ২২ হাজার মানুষ।



মন্তব্য চালু নেই