টানা দুই জয় টাইগারদের
আরাফাত সানি ও মাশরাফির বোলিং নৈপুণ্যে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে ৬৮ রানে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গেল টাইগাররা। বাংলাদেশের করা ২৫১ রানের জবাবে ১৮৩ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। ফলে ৬৮ রানের সহজ জয় পায় স্বাগতিকরা।
স্বাগতিকদের জয়ের পেছনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন আরাফাত সানি ও মাশরাফি বিন মর্তুজা। আরাফাত সানি চারটি এবং মাশরাফি নেন তিনটি উইকেট। এর আগে ব্যাটিংয়ে এনামুল হক বিজয়ের ৮০ ও তামিমের ৭৬ রানের ইনিংসও টাইগারদের জয়ে অনস্বীকার্য ভূমিকা পালন করে।
জয়ের জন্য ২৫২ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে ৫০ রানের মধ্যে প্রথম সারির চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ম্যাচ থেকে নিয়ন্ত্রণ হারায় সফরকারি জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়েকে বড় ধাক্কাটা দেন মাশরাফি। প্রথম তিনটি উইকেটই তুলে নেন টাইগার দলপতি। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন আরাফাত সানি। তুলে নেন চার উইকেট। শেষের দিকে জিম্বাবুয়ে ইনিংসে চূড়ান্ত ধস নামান তিনি।
৫০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর রেজিস চাকাবা ও সলোমন মিরে জুটি ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন। বাংলাদেশের নাগাল থেকে ম্যাচ নিজেদের নাগালে নিয়ে যাচ্ছিলেন এই দু’জন। তবে চাকাবাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ফের খেলায় ফেরান পেসার আল আমিন।
দলীয় ৫০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর চাকাবা-সলোমন মিরে মিলে ৬৫ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ১১৫ রানের মাথায় আল আমিনের বলে মাশরাফিকে কট দিয়ে সাজঘরে ফেরেন দারুণ খেলতে থাকা চাকাবা। ৫৩ বলে ৩২ রান করেন তিনি।
দলীয় ১১৫ রানের মাথায় চাকাবা ফিরে গেলে চিগম্বুরাকে নিয়ে ফের প্রতিরোধ গড়ে তোলেন সলোমোন মিরে। তবে দলীয় ১৪০ রানের সময় প্রতিরোধ ভেঙে দেন সাকিব আল হাসান। তুলে নেন সলোমনকে (৫০)।
১৪০ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের জয়ের পথটা মসৃণ হয়। তবে সপ্তম উইকেট জুটিতে পানিয়াঙ্গারাকে নিয়ে বাংলাদেশকে ভোগান্তি উপহার দেন চিগম্বুরা। ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন চিগম্বুরা। তবে দলীয় ১৭৭ রানের মাথায় চিগম্বুরাকে রান আউট করে সাগরিকা পাড়ে আবার আনন্দের ঢেউ তুলেন সাব্বির।
চিগম্বুরার পতনের পরই কোমর ভেঙে যায় সফরকারি জিম্বাবুয়ের। সেখান থেকে আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি সফরকারি দলটি। ৭ রানে শেষ চারটি উইকেট হারিয়ে ৬৮ রানের বড় পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সফরকারিরা।
আরাফাত সানি ২৯ রানের বিনিময়ে চারটি এবং মাশরাফি ৩ উইকেট নেন ৩৪ রানের বিনিময়ে।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ২৫১ রান করে বাংলাদেশ।
দুপুরে চমৎকার সূচনার পর ধস নামে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয় মিলে ১৫৮ তুলেন। ৭৫ রান করে তামিম ফিরে যাওয়ার ১ বল পরেই আউট হন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান সাকিব আল হাসান।
অপর ওপেনার বিজয়ও ফিরে যান দলীয় ১৭৩ রানের মাথায়। আউট হওয়ার আগে ৮০ রান করেন বিজয়। দুই বল পরে আবারো উইকেট পাওয়ার উল্লাসে মাতে জিম্বাবুইয়ানরা। দুই বল মোকাবেলা শেষে কোনো রান না করেই ফিরে যান আগের ম্যাচে ঝড়ো ইনিংস খেলা সাব্বির।
এর পর মুশফিকের সঙ্গে জুটি বাধেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তবে বেশিক্ষণ থাকেনি এ জুটিও। কামুঙ্গুজির করা ৪৪তম ওভারে পরপর দুই বলে সাজঘরে ফেরেন মাহমুদুল্লাহ ও মুশফিক। বাংলাদেশের রান তখন ২০৪।
৪৭তম ওভারের শেষ বলে চাতারার মাপা বলে ব্যাট চালিয়ে বোল্ড হন মাশরাফি।
মুশফিক আউটের পর উইকেটে আসেন মুমিনুল। তার সঙ্গে রুবেল মিলে ৫০ ওভার ব্যাটিং করে দলের স্কোর ২৫০ পার করান। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ২৫১ রান।
মন্তব্য চালু নেই