টানা চতুর্থ বারের মত ফাইনালে বার্সা

টানা চতুর্থবারের মত কোপা দেল রের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বার্সেলোনা। মঙ্গলবার সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগের ম্যাচে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে বার্সা। আর দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানের জয় নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে লুইস এনরিকের শিষ্যরা।

নিজেদের মাঠে হারের পর ফাইনালে জায়গা করে নিতে হলে বার্সার মাঠে বড় ব্যবধানে জয়ের কোন বিকল্প ছিল না অ্যাথলেটিকোর। সেই ধারাবাহিকতায় ম্যাচের শুরু থেকে আধিপত্য বিস্তার শুরু করে গ্রিজমান-গামেরোরা। দারুণ নৈপুণ্যে দুবার দলকে পিছিয়ে পড়া থেকে বাঁচান গোলরক্ষক ইয়াসপার সিলেসেন।

ম্যাচের ৩০ মিনিটে ডি-বক্সে তোরেস পড়ে গেলে পেনাল্টির আবেদন করে অ্যালেটিকো, তবে রেফারির সাড়া মেলেনি। উল্টো এক আক্রমণে ম্যাচের ৪৩ মিনিটে দারুণ এক আক্রমণে এগিয়ে যায় বার্সা। ডি বক্সের বাইরে থেকে মেসির শট গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে ঠেকালেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ফিরতি বল ফাঁকায় পেয়ে লক্ষ্যভেদে কোনো ভুল করেননি সুয়ারেজ।

বিরতির পর শুরু হয় ম্যাচের নাটকীয়তা। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে বার্সা মিডফিল্ডার রবের্তো দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকরা। ১০ জনের বার্সাকে পেয়ে চেপে ধরে সফরকারী দল। ম্যাচের ৬০ মিনিটে গ্রিজমান বল জালে পাঠালেও অফসাইডের বাঁশিতে সফরকারীদের আনন্দ থেমে যায়।

ম্যাচের ৬৯ মিনিটে অ্যাথলেটিকো মিডফিল্ডার ইয়ানিক কারাসকো দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে সফরকারী দলটিও ১০ জনে পরিণত হয়। ম্যাচের ৭৭ মিনিটে মেসির ফ্রি-কিক ক্রসবারে লাগলে হতাশ হয় স্বাগতিক শিবির। এর দুই মিনিট পর পেনাল্টি পায় অ্যাথলেটিকো। তবে তা থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন ফরাসি ফরোয়ার্ড গামেরো।

তবে ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করতে দেরি করেননি গামেরো। ম্যাচের ৮৩ মিনিটে বাঁদিক থেকে গ্রিজমানের পাস থেকে সহজেই জালে পাঠান গামেরো। এদিকে নির্ধারিত সময়ের শেষ দিকে সুয়ারেজ দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। বাকি সময় গোল না হলে ফাইনালে ওঠার আনন্দ নিয়ে মাঠ ছাড়ে মেসিরা।

উল্লখ্য, হলুদ কার্ডের জন্য এই ম্যাচে খেলতে পারেননি নেইমার। আর লাল কার্ড দেখায় ফাইনালে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে খেলতে পারবেন না লুইস সুয়ারেজ।



মন্তব্য চালু নেই