টাঙ্গাইলে বাস খাদে পড়ে নিহত ৮

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার বাঐখোলা নামক স্থানে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে মহিলাসহ আটজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।

বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় আহতদের টাঙ্গাইল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতরা জানায়, বিকেলে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী থেকে ঢাকাগামী বিনিময় পরিবহণের একটি বাস ঘটনাস্থলেই পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি বাসকে সাইট দিতে গেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পার্শ্ববর্তী খাদে পড়ে যায়। এতে বাসের ছাদে থাকা যাত্রীরা বাসের নিচে চাপা পরে। ঘটনাস্থলেই আটজন নিহত হন। আহত হয় আরো অন্তত ২০ জন। তাদের মধ্যে ১২ জনের নাম পাওয়া গেছে।

তারা হলেন আনোয়ার হোসেন, জিয়া হোসেন, জয়নাল মিয়া, বিলকিস বেগম, চম্পা বেগম, কমলা রানী, ইউসুফ আলী, রতন সূত্রধর, আলমগীর হোসেন, নিরব, মাহফুজা বেগম, খলিলুর রহমান। এদের মধ্যে আনোয়ার ও বিলকিসের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এদিক দুর্ঘটনার পরপরই টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ও জেলা পুলিশের পাশাপাশি হাইওয়ে, মির্জাপুর ও বাসাইল থানা পুলিশ উদ্ধার কাজে অংশ গ্রহণ করে। প্রথমে স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ছয়জনের লাশ উদ্ধার করে। পরে বাসটির ভেতরে আরো লাশ আছে সন্দেহ করা হচ্ছে। দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি জেলা পুলিশের ক্রেন দিয়ে টেনে সোজা করার পর তার নিচ থেকে আরো দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়ায় আটজনে।

নিহতদের মধ্যে জরিনা বেগম নামের একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। সে শেরপুরের লক্ষীটেংরী গ্রামের দুলাল মিয়ার স্ত্রী।

গোড়াই হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, দুর্ঘটনার পরপরই হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে।

দুর্ঘটনার পর পরই টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. মাহবুব হোসেন ও পুলিশ সুপার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছে উদ্ধার কাজ তদারকি করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক নিহত প্রত্যেক পরিবারকে বিশ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেন।



মন্তব্য চালু নেই