ঝিনাইদহে হরতালের সমর্থনে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল : গ্রেফতার ৭
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা হরতাল ঝিনাইদহে চলছে। জেলায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। জেলা ব্যাপী গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এদিকে হরতাল সমর্থনে রোববার সকালে শহরের আরাপপুর বাসস্টান্ড এলাকায় আশরাফুল ইসলাম পিন্টুর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। অন্যদিকে শহরের হামদহ এলাকায় সাজেদুর রহমান পাপপুর নেতৃত্বে হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল হয়। মিছলের সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন জানান, জেলায় যেকোন প্রকার নাশকতা এড়াতে শহরের গুরুত্বপুর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নাশকতা দমনে জেলায় যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে । এদিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ এ কে এম কামাল ও জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেনকে শনিবার মধ্যরাতে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।
ঝিনাইদহ সদর থানার ডিউটি অফিসার সহকারী উপ-পরিদর্শক মুজাহিদ জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিত্বে শনিবার রাত ১২টার দিকে ডাঃ কামাল হোসেনকে আরাপপুরের বাসা থেকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে যৌথ বাহিনী। তিনি আরো জানান, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিত্বে যৌথ বাহিনী ডাঃ কামালকে আটক করা হয়েছে।
এছাড়া রোববার ভোরে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেনকে আরাপপুরের নিজ বাসা থেকে যৌথবাহিনী আটক করেছে বলে বিএনপি সুত্রে জানা গেছে। ঝিনাইদহ সদর থানার রাত্রিকালীন ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক ইসমাইল হেসেন ডাঃ কামাল ও বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
চিকিৎসক কামাল হোসেনের স্ত্রী ডা ফেরদৌসি রুমি জানান, শনিবার রাত ১২টার দিকে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা তাদের বাসাটি ঘিরে ফেলে এবং কিছু কথা আছে বলে ডাঃ কামালকে তাদের সঙ্গে নিয়ে যায়।
এদিকে ঝিনাইদহ ডিস্ট্রিক্ট সিকিউরিটি ব্রাঞ্চ (ডিএসবি) সুত্রে জানা গেছে, শনিবার জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পাঁচ বিএনপি ও জামায়াত কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঝিনাইদহ ডিস্ট্রিক্ট সিকিউরিটি ব্রাঞ্চের উপ পরিদর্শক কামরুজ্জামান জানান, নাশকতার অভিযোগে পুলিশ সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জুলফিক্কার আলী ভুট্রোসহ এ সব নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।
মন্তব্য চালু নেই