ঝিনাইদহে জোড়া শিশু নিয়ে বিপাকে মা
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পদ্মাকর ইউনিয়নের লৌহজঙ্গা গ্রামের জাকিয়া সুলতানা লাবনী জোড়া লাগানো শিশুর জন্ম দিয়েছেন। তিনি একই গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে। জোড়া লাগানো দুই শিশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তাদের পিতা মা। শিশু দুটির শরীরের সব অঙ্গ আলাদা থাকলেও বুক এক সাথে লাগানো।
তবে এখনও সুস্থ আছে তারা। স্বাভাবিক ভাবে খাবার গ্রহণ করছে। হাসছে, কাঁদছে, খেলছে। চিন্তিত তার মা সন্তান দুটির ভবিষ্যত নিয়ে। তবে জোড়া লাগানো শিশু নিয়ে প্রবাসী বাবা আলতাফ হোসেন মোটেও চিন্তিত নয়। আল্লাহ যা দিয়েছেন তা নিয়েই খুশি তিনি। শিশু দুটির নাম রাখা হয়েছে লাইবা ও লাবিবা। তাদের দেখতে প্রতিদিন ওই বাড়ীতে লোকজন ভীড় করছে।
মা জাকিয়া সুলতানা লাবনী বলেন, আমার প্রথম সন্তান জোড়া লাগানো হয়েছে। তাদের লালন পালন করা কষ্টকর। উন্নত চিকিৎসা করে দুজনকে আলাদা করার সামর্থ্য নেই আমাদের। সরকার বা কোন দানশীল ব্যক্তি যদি জোড়া লাগানো শিশু দুইটির চিকিৎসায় এগিয়ে আসে তবে আমরা খুশি হবো।
এ বিষয়ে প্রবাসী বাবা আলতাফ হোসেন বলেন, জোড়া লাগানো সন্তান নিয়ে আমার কোন দুঃখ নেই। তবে ওদের তো কষ্ট হবে। ওরা অন্য শিশুদের মত খেলতে পারবে না, চলতে পারবে না। ওদের জীবন জন্ম থেকে সংগ্রামের। আল্লাহ ওদের সহায় হোন। ওরা যেন সুস্থ থাকে এই দোয়াই করি। বর্তমান শিশু দুটির বয়স প্রায় চার মাস।
এ ব্যপারে ঝিনাইদহ ইনস্টিটিউট অব হেলথ এন্ড টেকনোলোজীর অধ্যক্ষ শিশু বিশেষজ্ঞ ডা: দুলাল কুমার চক্রবর্তী জানান, হৃদপৃন্ড ও ফুসফুস যদি আলাদা থাকে তাহলে এদের কোন সমস্যা হবে না। তবে শিশু দুইটির পিতা মাতার উচিৎ হবে দ্রুত বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তারদের পরামর্শ নেওয়া ।
মন্তব্য চালু নেই