ঝিনাইদহে কলেজ ছাত্রকে কুপিয়ে ও গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যা
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভেড়াখালী গ্রামের কামরুজ্জামান (২১) নামে এক কলেজ ছাত্রকে কুপিয়ে ও সদর উপজেলার মাড়ন্দি গ্রামে ফজিলা খাতুন (৩৪) নামে এক গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কলেজ ছাত্র কামরুজ্জানকে ঘরের মধ্যেই সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করে। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদি কলেজের ছাত্র নিহত কামরুজ্জামান ভেড়াখালী গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে।
অন্যদিকে ফজিলা খাতুন মাড়ন্দি গ্রামের গোপাল বিশ্বাসের মেয়ে ও একই গ্রামের মনিরুল ইসলামের স্ত্রী। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, প্রচন্ড গরমে রাতে কলেজ ছাত্র কামরুজ্জামান ঘরের দরজা খুলে শুয়ে ছিল। তার ছোট ভাই শুয়ে ছিল ছাদের উপর। বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে কে বা কারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। সকালে পরিবারের লোকজন ঘরে ঢুকে তাকে মৃত অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে হরিনাকুন্ডু পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করতে পারে। তবে পারিবারিক কলহের কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে এমন কথাও শোনা যাচ্ছে। এদিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মাড়ন্দি গ্রামে ফজিলা খাতুন (৩৪) নামের এক গৃহবধুকে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে বলে তার পিতা গোপাল বিশ্বাস অভিযোগ করেছেন।এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ থানায় জামাতা মনিরুলকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
স্থানীয় নারিকেল বাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ রবি শংকর জানান, ফজিলা খাতুনের বাবা গোপাল বিশ্বাসের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বুধবার রাত ৯টার দিকে লাশ উদ্ধার করে। নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে ফজিলা খাতুনকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
মন্তব্য চালু নেই