ঝালকাঠি মেয়রের পক্ষে লিগ্যাল নোটিশ ॥ তদন্ত পূর্বক এজাহার রেকর্ড করেছে পুলিশ

ঝালকাঠি পৌর মেয়র আফজাল হোসেনের ডাক্তার পট্টিস্থ পুরানো বাস ভবনে ২৫ জানয়ারী রাতে রহস্যজনক অগ্নিকান্ডের ঘটনা মামলা হিসেবে রুজু না করানোর জন্য লিগ্যাল নোটিশ করেছে তার হাইকোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। মেয়রের পক্ষে উক্ত নোটিশে ঝালকাঠি থানার ওসি শিলমনী চাকমা ও এসআই জাকিরকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে এফআইআর না নিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান।

অন্যদিকে গত ২৬ জানুয়ারী মেয়রের দেয়া লিখিত অভিযোগটি পাওয়ার পর এসআই হালিমকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল এবং প্রাথমিক তদন্ত শেষে সোমবার অভিযোগটি দ: বি: ৪৩৬ ধারায় এজাহার রেকর্ড করা হয়েছে বলে থানার ওসি (অপারেশন) শিলমনি চাকমা জানিয়েছে।

গত ৩১ জানুয়ারী লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ২৫ জানুয়ারী রাত সাড়ে ১০ টায় একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ আকস্মিক ভাবে মেয়র আফজাল হোসেনের বাসভবনে পেট্রোল বোমা হামলা চালায়। ঘটনার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন। দমকল বাহীনি ঘটনা স্থলে এসে বাসভবনের আগুন নেভায়। এ ঘটনা উল্লেখ করে তার মোয়াক্কেল থানায় লিখিত অভিযোগ করলে আপনি ওসি এখন পর্যন্ত তা এজাহার হিসেবে গ্রহন করেননি।

লিগ্যাল নোটিশে আরো উল্লেখ করা হয়, সিআরপিসি ১৫৪ ধারা আর্টিকেল ২৭ ও ৩১ অনুসারে একজন নাগরিকের বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। এই মর্মে মহামান্য হাইকোর্টের বিচারপতি ইমাম আলী ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসান একটি রায়ও দিয়েছেন। তাই নোটিশ প্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এফআইআর না নেয়া হলে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করার অভিযোগ আনা হবে।

এ ব্যাপারে ঝালকাঠি সদর থানার ওসি শিলমনি চাকমা লিগ্যাল নোটিশ পাবার কথা স্বীকার করে বলেন, ২৬ জানুয়ারী মেয়রের দেয়া লিখিত অভিযোগটি পাওয়ার পরেই তা তদন্তের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং তদন্ত শেষে এসআই হালিম রিপোর্ট করলে গত ২ ফেব্রুয়ারী অভিযোগটি এজাহার হিসাবে রেকর্ড করা হয়েছে। এখানে আইনের কোন প্রকার ব্যতিক্রম ঘটার প্রশ্নই আসেনা।

প্রসঙ্গত, ২৫ জানুয়ারী রাতে এঘটনার পর পৌর মেয়র আফজাল হোসেন তার প্রতিক্রিয়ায় জানায়, ইতিমধ্যে সে নিজ জীবনের নিরাপত্তা দাবী করে থানায় জিডি সহ সরকার ও প্রশাসনের কাছে দাবী জানিয়ে আসছিলেন। কিছুদিন পূর্বে তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে পৌরসভা কার্যালয়ে সহিংস ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। রবিবার রাতে শহরের ডাক্তারপট্টি তালাবদ্ধ তার সাবেক বাসায় পেট্রল বোমা মারার বিষয়টি তার ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে হত্যা প্রচেষ্টারই অংশ।

বর্তমানে তিনি আড়ৎদার পট্রি বাসভবনে বসবাস করলেও এখানে মাঝেমধ্যে বসেন। বোমা হামলার খবর পেয়ে তিনি ছুটে এসে কাউকে না দেখলেও ঘটনার সময় তার বাসার সম্মুখে দাড়ানো প্রত্যক্ষদর্শী স্বর্নব্যবসায়ী দিপকের কাছ থেকে শুনেছেন, পালবাড়ী এলাকার হাতকাটা কবির এ প্রেট্রলবোমা ছুড়ে মেরেছে এবং তার সাথে থাকা পালবাড়ীর আজাদ মটোরসাইকেল চালিয়ে দ্রুতো পালিয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই