ঝালকাঠি পৌর মেয়রের নিরাপত্তায় চেয়ে ৮ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে জিডি দায়ের
ঝালকাঠি পৌর মেয়র আফজাল হোসেন নিরাপত্তাহীনতায় ৮ কাউন্সিলরের নামে সদর থানায় সাধারণ ডায়েরী (নং-৬৬৯) করেছেন। ঝালকাঠির এ পৌর কাউন্সিলর পৌরস্বার্থ বিরোধী স্বার্থ আদায়ে চাপ সৃষ্টি করে ব্যর্থ হয়ে হুমায়ুন কবীর খান, রেজাউল করীম জাকির, রফিকুল ইসলাম, সেলিম মুন্সি, মজিবর রহমান, আলমগীর হোসেন, মোশাররফ হোসেন, মাহাবুবুজ্জামান স্বপন ৭ জানুয়ারী বহু অপরিচিত মাস্তান ভাড়া করে পৌরভবন চত্ত্বরে অনধিকার প্রবেশ করে পৌর মেয়রের ভাই আউয়াল হোসেনসহ কতিপয় কর্মচারীকে আহত করে এবং তাদের কর্তব্য কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে বলে ডায়েরীতে তিনি উল্লেখ করেছে।
কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির খান বাদি হয়ে আমাকে (পৌর মেয়র)সহ ১৮ জনের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। ১৫ জানুয়ারী (বৃহস্পতিবার) আদালত থেকে জামিন নেয়ার পর কাউন্সিলর হুমায়ুন কবীর খান, রেজাউল করীম জাকির, রফিকুল ইসলাম ও মজিবর রহমান ৭ জানুয়ারীর ঘটনা পুনঃঘটনোর জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে আরো বহু অপরিচিত লাঠিয়াল, অস্ত্রধারী মাস্তান সংগ্রহ করে যে কোন কার্য দিবসে পৌরসভা আক্রমন ও আমাকে (মেয়র) খুন, জখম করবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দেয়ায় জীবনের নিরাপত্তার জন্য সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অপরদিকে পৌর মেয়র আফজাল হোসেন তার জীবন হুমকির সম্মুখীন পৌরসভার সার্বিক নিরাপত্তাসহ পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অফিস চলাকালীন সময়ে আগত জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক, পুলশ সুপার, ডিআইজি, র্যাব-৮ উপপরিচালক, ডিজিএফআই শাখা অধিনায়ক বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন। কাউন্সিলর হুমায়ুন কবীর খান, রেজাউল করীম জাকির, রফিকুল ইসলাম ও মজিবর রহমান ৭ জানুয়ারীর ঘটনা পুনঃঘটনোর জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে আরো বহু অপরিচিত লাঠিয়াল, অস্ত্রধারী মাস্তান সংগ্রহ করে যে কোন কার্য দিবসে পৌরসভা আক্রমন ও আমাকে (মেয়র) খুন, জখম করবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দেয়ায় জীবনের নিরাপত্তার জন্য লিখিতভাবে আবেদন করা হয়েছে।
পৌর সচিব শাহিন আক্তার বলেন, আমরা পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব, ড্আিইজি ও পুলিশ সুপার বরাবরে আবেদন করা হয়েছে। পৌর মেয়র আফজাল হোসেন বলেন, ১৭ জানুয়ারী শনিবার প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পৃথক পৃথকভাবে আবেদন করা হয়েছে। প্রত্যেকটি আবেদন সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে রিসিভ করিয়ে আনা হয়েছে। আবেদনের প্রেক্ষিতে র্যাব-৮ এর ভ্রাম্যমাণ টহল টিম সকাল ৯ টায় পৌর চত্ত্বরে টহল দেয়। তারা আমাকে (মেয়র)বলেছে, আমরা টহলরত আছি, কোন সমস্যা হলে ফোন দিবেন।
ঝালকাঠি ৭ম শ্রেনীর ছাত্রীকে ঘর থেকে তুলে নেয়ার চেষ্টা
বাধা দিতে গিয়ে স্কুলছাত্রীর ও বখাটে যুবক আহতের অভিযোগ
৭ম শ্রেনীর ছাত্রী জেসমিন আক্তারকে উত্যক্ত ও তুলে নিতে গিয়ে বাড়ীর লোকজনের ধাওয়া এক নেশাগ্রস্থ যুবক আলআমিন (২৫) টিনের বেড়ার উপর পরে আহত হয়েছে। এ সময় ইভটিজিংকারী ও বখাটেদের সাথে ধস্তাধস্তিতে অসহায় স্কুল ছাত্রীর মা মরিয়ম বেগম (৪০) আহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঝালকাঠি সড়ক বিভাগের অফিসের পেছনে কৃষনকাঠি সড়কে রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় এ ঘটনায় ঘটেছে।
অন্যদিকে আহত ইভটিজিংকারী আলআমিন (২৫) অভিযোগ করেছে, বিদেশে নেয়ার জন্য ৩ লাখ টাকা নিয়ে কয়েক বছর ধরে তালবাহানা করায় উক্ত টাকা ফেরৎ চাইতে গেলে তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষই ঝালকাঠি থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্কুল ছাত্রীর মা মরিয়ম বেগম অভিযোগ করেন, আনোয়ার হোসেন তালুকদারের পুত্র ইভটিজিংকারী আলআমিন (২৫) ও তার কয়েক সহযোগী বেশ কিছু দিন ধরে ওমান প্রবাসী জালাল গাজীর মেয়ে হরচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী জেসমিন আক্তারকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। উচ্চমাধ্যমিক পড়–য়া এক ছেলে ও স্কুল পড়–য়া মেয়ে নিয়ে অভিভাবকহীন মরিয়ম বেগম বিষয়টি আলআমিনের পিতা-মাতার কাছে অভিযোগ করলে বখাটে আলামিন তাদের নানারকম হুমকি দেয়া। তবে পরিবার ও মেয়ের নিরাপত্তা ও সম্মানের ভয়ে কোথাও অভিযোগ করেনি। রবিবার আলআমিন (২৫) ও তার সহযোগীরা বাড়ীতে ডুকে স্কুল ছাত্রীকে অত্ত্যক্ত করলে মা মরিয়ম বেগম তাদেও বাধা দেয় ও ধস্তাধস্তিতে সে আহত হয়। এ সময় মরিয়ম বেগম চিৎকার দিলে আশেপাশের লোক ধাওয়া দিলে মাতাল আলআমিন টিনের বেড়ার উপর পরে জখম হয়।
অন্যদিকে আহত আলআমিন জানায়, প্রবাসী জালাল গাজী এলাকার বেশ কয়েক জনকে বিদেশে নেয়ায় সে আগ্রহী হয়ে এক বছর পূর্বে ৩ লাখ টাকা দিলেও বিদেশে না নেয়ায় সে টাকা ফেরৎ চাইতে উক্ত বাসায় গেলে তারা কোন টাকা নেয়নি বলে চোখপাল্টি দেয়। এসময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রবাসীর উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র জামিরুল তাকে ধাড়ালো চাকু দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।#
সংবাদ সম্মেলন পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ
ঝালকাঠির টিএন্ডটি রোডের মালিক ভাড়াটিয়া দ্বন্দ্ব
ঝালকাঠি শহরের টিএন্ডটি রোডে ভবন ভাড়া নিয়ে মালিক পক্ষ এবং ভাড়াটিয়াদের দ্বন্দ্বে সংবাদ সম্মেলন করেছে মালিক পক্ষ। রোববার দুপুর ১২ টায় টিএন্ডটি রোডস্থ বিরোধীয় ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ক্রয় সূত্রে জমির মালিক মোয়াজ্জেম হোসেনের স্ত্রী শাহীনা হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যে শাহীনা হোসেন ও তার পরিবার বলেন, ঝালকাঠি শহরের পশ্চিম চাঁদকাঠি টিএন্ডটি রোডের (হোল্ডিং নং-২৪৭) ভবনটি পশ্চিম ঝালকাঠি মৃতঃ আব্দুল কাদের খলিফার পুত্র স্যাংগুইন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের পরিচালক শাহিন খলিফা ২০১০ সালে শিশুদের ইংরেজি শিক্ষার জন্য তার বিল্ডিং মাসিক ৬ হাজার ও বসবাসের ভবনটি ৪ হাজার সহ মাসিক ১০ হাজার টাকা মৌখিক চুক্তিতে ভাড়া দেই। প্রথম বছর সঠিক ভাবে ভাড়া পরিশোধ করলেও পরে ভাড়া দেয়া বন্ধ করে দেয়।
এ নিয়ে মালিক পক্ষের সাথে ভাড়াটিয়া শাহিনের সাথে মনোমালিন্য হলে সে পৌরমেয়র আফজাল হোসেনের নাম ভাংগিয়ে এক পর্যায়ে অনুপায় হয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর শালিশ বৈঠক বসানো হয়। বৈঠকে ২০১৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত পাওনা ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা ১ এপ্রিল ২০১৪ সালের মধ্যে পরিশোধ করবে। পরবর্তি প্রতিমাসের ১০ তারিখের মধ্যে ভাড়া পরিশোধ ও ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বিল্ডিং খালি করে বাড়ির মালিককে বুঝিয়ে দিবে। কিন্তু সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে তিনি (শাহিন) মূল্যবান জায়গা দখলের পায়াতারা চালায়।
গত ৮ জানুয়ারী বিকেলে আমরা তাকে দখল মুক্ত করতে বললে তিনি রামদা নিয়ে আমাদের বাধা দেয়। আমরা তার হাত থেকে রামদা ছাড়াতে গেলে ধস্তাধস্তিতে নিজেই জখম প্রাপ্ত হয়। এ ঘটনায় তার কলেজ ও স্কুল পড়–য়া দুই পুত্র সহ পরিবারের সদস্যদের আসামী করে একটি মামলা দায়ের করায় বর্তমানে পরিবারের অধিকাংম পুরুষ সদস্য পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন।
বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, ঝালকাঠি পুলিশ সুপারের পুত্র এ স্যাংগুইন স্কুলে ছাত্র হওয়ায় তিনি পক্ষপাত মূলক ভাবে আমাদের দখলমুক্ত করা ভবনটি ‘পুনরায় শাহিন খলিফার কাছে’ হস্তান্তর করার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। সংবাদ সম্মেলনে শাহিনার ভাই বাদল হোসেন মুন্সি, তার স্ত্রী সুরাইয়া জাহান নুপুর, নিকটাত্মীয় শাহিদা পারভিন সহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য চালু নেই