শেখ হাসিনার মঞ্চসহ গাড়ীবহরে হামলাকারী
ঝালকাঠির পৌরমেয়র আফজালের হাত থেকে রক্ষার আবেদন কাউন্সিলরদের
দূর্নীতিবাজ, জন্মগত সন্ত্রাসী ও শেখ হাসিনার সভামঞ্চ সহ গাড়ীর বহরে হামলাকারী বিতর্কিত মেয়র আফজাল হোসেনের হাত থেকে পৌরবাসীকে রক্ষার জন্য আবেদন ঝালকাঠি পৌরসভার ১০ কাউন্সিলের। শুক্রবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তার বিরুদ্ধে বিস্তর দূর্নীতির অভিযোগ ও অপকর্মের ফিরিস্তি তুলে ধরে কাউন্সিলররা এ আবেদন জানান।
১০ কাউন্সিলরের পক্ষে প্যানেল মেয়র রেজাউল করিম জাকির সাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ৭ জানুয়ারী সকাল ১০টায় স্বাস্থ্য বিভাগ আয়োজিত এক সভায় অংশ নিতে গেলে পৌরসভার সম্মুখের খাজনা, হোল্ডিং ট্যাক্স ও পৌর পনির অস্বভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানাতে আগত কিছু লোকজন দেখতে পান। কাউন্সিলরদের পেয়ে ভূক্তোভূগীরা তাদের এ দূর্ভোগের কথা জানালে তাদের শান্ত থাকতে বলে মেয়র আসলে বিষয়টি তুলবেন বলে জানান।
পরে মেয়র আফজাল তার ভাই আউয়াল, দুলাল, বাচ্চু, ভাতিঝা মুন্না, পালিত স্বন্ত্রাসী বাসষ্টান্ড ফরিদ, আলু শাহীন, শ্রমিকদল বাবুল, শীতলাখোলা হাফিজ, সলেমান, সহ আরো ৩০/৩৫ জনের বহর নিয়ে পিস্তল ও শর্টগান সহ পৌর কার্যালয়ে প্রবেশ করে কাউন্সিলরদের দেখেই পৌরকার্যালয়ে কেনো এসেছি জানতে চায়। তারা মিটিংয়ের দাওয়াত পেয়ে এসেছে জানিয়ে পৌরপরিষদের সিদ্ধান্ত ব্যতি রেখে খাজনা, হোল্ডিংট্যাক্স ও পনির মূল্য কেনো অস্বভাবিক বৃদ্ধি করা হলো জানতে চায়।
এতে ক্ষুদ্বু হয়ে মেয়র তাদের গালাগাল করে পিস্তল ও শর্টগান সহ তার বাহিনী নিয়ে তাদের মারধর শুরু করে। এ সময় সেখানে আগত ভূক্তোভুগী পৌরবাসীও প্রতিবাদ জানালে উভয়পক্ষে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। হামলায় কাউন্সিলর হুমায়ূন কবির খান সহ কয়েকজন কাউন্সিলর ও সাধারন নাগরিক আহত হলে আফজাল সহ তার স্বন্ত্রাসী সহযোগীদের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দায়ের করেন। অন্যদিকে জনবিচ্ছিন্ন মেয়র আফজাল প্রতিপক্ষদের দমনে বরিশাল থেকে অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী ভাড়া করে এনে শহর জুড়ে ব্যাপক মটোরসাইকেল মহড়া দিয়ে জনমনে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, মেয়র আফজাল নিজেকে আওয়ামীলীগের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা দাবী করলেও সে ২০০৪ সালে দলীয় পৌর চেয়ারম্যান মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামীলীগের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সভামঞ্চ ও গাড়ীবহরে হামলা চালিয়ে দেশব্যাপী আওয়ামীলীগের ভাবমূর্তী ক্ষুন্ন করে। বর্তমানে আওয়ামীলীগের সমর্থনে মেয়র নির্বাচিত হয়েও আওয়ামীলীগ ও অংগসংগঠনের নেতাকর্মীদের উপেক্ষা করে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্বেতসন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছেন।
এছাড়া মেয়র আফজাল, তার ভাইরা আওয়ামীলীগের নামভাংগিয়ে ডাকাতী, হত্যা, ধর্ষন, হিন্দুদের সহ সরকারী জমি দখল, পরস্ত্রী ভাগিয়ে নেয়া, মাদ-গাজা-ফেন্সিড্রিলের ব্যবসা, টেন্ডারবাজী করে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছেন। সে নিজের আত্মীয়-স্বজন ও স্বন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে এসব দূর্নীতি-লুটপাটের কারনে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী সহ সাধারন পৌরবাসী তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। আর পৌরবাসীর ভাগ্য বঞ্চিত করে এ আফজাল-দুলাল গংয়েরা বর্তমানে বিলাস বহুল জীবন যাপন করছে।
পৌরবাসীর সেবার জন্য পরিচালিত এ পবিত্র কার্যালয়ে মেয়র পদে আসীন দুশ্চরিত্র মেয়র আফজাল মেয়র কক্ষের সাথেই অপর একটি কক্ষে দিনরাত মদ ও নারীভোগে মধুকুঞ্জ স্থাপন করে অপবিত্র করেছেন। এক সময়ে ডিপোর সালাম সহ কয়েক জনের দান-সাহায্যে জীবন-জিবীকা নির্বাহকারী এ আফজাল ৪ বছরের ব্যবধানে ‘আলাউদ্দিনের আশ্চর্য প্রদীপ প্রাপ্তির ন্যায়’ কোটি কোটি টাকা ও বিপুল সম্পদের মালিক হয়ে উঠেছে।
আওয়ামীলীগের নাম ভাংগিয়ে মেয়র পদ লাভকারী এই আফজাল ভবিষ্যত নিরাপত্তা ও অর্জিত সম্পদ নিরাপদ রাখার স্বার্থে বর্তমানে বিএনপি-জামায়াত চক্রের সাথে আতাঁত করে প্রধানমন্ত্রী সহ অন্যান্য মন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের প্রবীন নেতাদের বিরুদ্ধে বীষোদগার করছেন। তাদের সাথে গোপন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সে আওয়ামীলীগ সরকারকে জনবিচ্ছিন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তাই আওয়ামীলীগের প্রকৃত আদর্শে বিশ্বাসী কাউন্সিলররা জনস্বার্থে বিতর্কিত মেয়র আফজাল হোসেনের হিং¯্রতা থেকে রক্ষা পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যকর পদক্ষেপ ও তদন্ত পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী করেন।
মন্তব্য চালু নেই