প্রধানমন্ত্রী ও শিল্পমন্ত্রী সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে এলাকাবাসীর আবেদন

ঝালকাঠির নলছিটিতে বারেক-মনকা বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার দাবি

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ডাকাত সর্দার বারেক ও র্শীর্ষ ডাকাত মনকা বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রধানমন্ত্রী, ঝালকাঠী-২ আসনের সংসদ সদস্য শিল্প মন্ত্রী আমীর হোসেন আমু, জেলা প্রশাসক, র‌্যাব সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্ধারা আবেদন জানিয়েছে । গত বছর এই ভয়ংকর দুই ডাকাত দলের নির্বিচারের ডাকাতী, লুটপাট, ছিনতাইয়ে ঘটনায় বিশেষ করে মোল্লারহাট, রানাপাশা, নাচনমহল ও সুবিদপুর ইউনিয়নের সাধারন মানুষের রাতে ঘুম হারাম হয়ে গেছে বলে আবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে।
স্থানীয় থানা পুলিশের চোখে ধূলো দিয়ে আন্তজেলার ও দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পেশাধার অপরাধী ও অস্ত্রধারীদের এনে অপারেশ চালিয়ে সটকে পরায় পুলিশ তাৎক্ষনিক ভাবে তাদের আটক বা মালামাল উদ্ধার করতে পারেনা। উপরন্তু বিভাগীয় ও উর্ধতন প্রশাসনের চাপ এ্যঁড়াতে গুরুতর ডাকাতীর ঘটনাও চুরি-দস্যুতার মতো লগু দ:বি: উল্লেখ করে মামলা রেকর্ড করে অন্যথায় আইনী জটিলতা সৃষ্টি করে অভিযোগ ঝুলিয়ে রেখে দায় এড়ানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
নলছিটির সহ উক্ত ইউনিয়নের বাসিন্ধাদের সাক্ষরিত আবেদন উল্লেখ করা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে উপজেলার মোল্লার হাট ইউনিয়নের আলমগীর মাস্টারের বাড়িতে ডাকাতি, তার আগে একই এলাকার আবু জোম্মাদারের ঘরে দূর্ধর্ষ ডাকাতি সহ তাকে বেধরক মারধর , নাচন মহল ইউনিয়নের চান্দু মেম্বারের ঘরে ডাকাতি ও সর্বশেষ একই ইউনিয়নের (ডেবরা প্রেসিডেন্ট বাড়ি) মরহুম আ: রব হাওলাদারের বাড়িতে ডাকাতি ঘটনায় সাধারন মানুষের মধ্যে ডাকাত আতংক বিরাজ করছে। এসব ডাকাতীর শিকার পরিবারগুলোর অভিযোগ, বহিরাগত দূর্বৃত্তদের সাথে ঠান্ডা মাথার খুনি ডাকাত সর্দার বারেক ও বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত র্শীর্ষ ডাকাত মনকা নিজে সম্পৃক্ত বলে তারা নিশ্চিত। কিন্তু অনেকে চিনতে পারলেও নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের নাম উল্লেখ করে মামলা কিংবা আইনের আশ্রয় নিতেও সাহস পায়না।
সংঘবদ্ধ এসব ডাকাত দলের নেতা ও সদস্যরা ঢাকার কর্নফুলী মার্কেটে সহ বিভিন্ন স্থানে সংগটিত জুয়েলারীতে ডাকাতি, আন্ত: জেলা চোরাচালানী, আগ্নেঅস্ত্রের ও জাল টাকার ব্যবসা সাথে জড়িত দেশের বিভিন্ন থানায় তাদের বিরুদ্ধে কয়েক ডজন মামলা রয়েছে। দিনের বেলা এরা খুবই সাধারন নিরীহ ভাব নিয়ে চলাফেরা করলেও রাতের বেলা ভয়ঙ্কর ডাকাত-খুনিতে রূপান্তরিত হওয়ায় ইউনিয়নের সাধারন মানুষ প্রকাশ্যে তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না।
এলাকাবাসী জানায়, ডাকাত সর্দার বারেক ইতিপূর্বে স্থানীয় দেলোয়ার মিস্ত্রির ভাতিজা মোঃ আলমগীরকে হত্যা, ডেবরা গ্রামের আশ্রাব আলী সিকদার ও হাতেম আলী সিকদার দু’ভাইকে একসাথে জোড়া খুন করে নাচন মহল ভবানীপুর খালে মধ্যে ফেলে রাখা ও দিনাজপুরে একজনকে খুন করে ধরা পরলে দীর্ঘদিন জেলে হাজতে থাকার পর জামিনে বেড় হয়ে এলাকায় আসে। তার এলাকায় অবস্থানের খবর পেয়ে গত এপ্রিলে র‌্যাব সদস্যরা অভিযান চালালেও একটুর জন্য চিনতে না পারায় তাকে ধরতে ব্যর্থ হয়।
আর র্শীর্ষ ডাকাত মনোজ ওরফে মনকা বিগত বিএনপি সরকারের সময় ঝালকাঠি-নলছিটিতে একচেটিয়া গাজা, ফেন্সিড্রিল সহ মাদক ব্যবসার মাধ্যমে অপরাধ জগতে প্রবেশ করে। পরবর্তীতের একাধিক মামলার আসামী হিসাবে নাচনমহল ইউনিয়নের ভবানীপুর অবস্থান মটোরসাইকেল ছিনতাই, লুটপাট, ডাকাতী, আগ্নে অস্ত্র ও একাধিক খুনের ঘটনায় জড়িত থাকলেও তার বিরুদ্ধে কেউ মামলা করতে সাহস পায়না।
ইতোমধ্যে আগ্নেয়াস্ত্রধারী র্শীর্ষ ডাকাত মনকা কে মরহুম আ: রব হাওলাদারের বাড়িতে ডাকাতি ঘটনায় পুলিশ আটক করলে সে ও তার সহযোগীরা উক্ত পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। নলছিটি থানা পুলিশ আটক র্শীর্ষ ডাকাত মনকা কে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে উক্ত ডাকাতী ছাড়াও সম্প্রতিক সময়ে উপজেলা জুড়ে সংগটিত অন্যান্য ডাকাতী ও ছিনতাই ঘটনার বহু অজানা তথ্য বেড়িয়ে আসবে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই