ঝালকাঠিতে মামলাবাজ ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে মালিকের সংবাদ সম্মেলন

ঝালকাঠি শহরের প্রানকেন্দ্রে হোগলাপট্টি এলাকায় নিজ ভবনের নীচতলা ভাড়া দিয়ে গ্যাড়াকলে পরেছে অসহায় বাড়ী মালিক প্রবাসী মোহাম্মদ আলী হাওলাদার ও তার পরিবারের সদস্যরা। ৬ বছর মেয়াদী ভাড়া চুক্তির মেয়াদ শেষে হলে গত ৭বছর ধরে সেতু কালার ল্যাব এন্ড ষ্টুডিও এর মালিক মামলাবাজ দেলোয়ার হোসেন পান্না জোরজবরদস্তি দোকান ঘরটি দখল করে রেখেছে। উপরন্তু তার সহযোগী অর্থলোভেী দালাল ও দুই আইন ব্যাবসায়ীর ষড়যন্ত্রে মামলাবাজ পান্নার দায়েরকৃত ৬টি মামলা মাথায় নিয়ে চরম হয়রানি ও নির্যাতনের মধ্যদিয়ে জীবন যাপন করছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাড়ীর মালিক প্রবাসী মোহাম্মদ আলী হাওলাদারের আত্মীয় ও আইনগত দায়িত্বপ্রাপ্ত সৈয়দ মাসুম বিল্লাহ।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, বিগত সেপ্টম্ভর ২০০২ সাল থেকে স্থানীয় দেলোয়ার হোসেন পান্না, পিতা: মৃত আঃ মন্নান মিয়া, ১৬ মসজিদ বাড়ী, ঝালকাঠির ভাড়াটিয়া চুক্তির মাধ্যমে ৩১ ডিসেম্ভর ২০০৮ সাল পর্যন্ত ভাড়া নিয়ে সেতু কালার ল্যাব এন্ড ষ্টুডিও স্থাপন করে। চুক্তির সময় শেষ হলে পান্না ও তার স্ত্রী-পুত্রের অনুরোধে বাড়িমালিক পক্ষ মানবিক বিবেচনায় সুষ্ঠু ভাবে অন্যত্র দোকান হস্তান্তরের স্বার্থে মৌখিক অনুমতিতে ডিসেম্বর ২০১২ সাল পর্যন্ত সময় প্রদান করেন। কিন্তু সে দোকান ছেড়ে না দিয়ে তালবাহানা শুরু করে।

ইতিমধ্যে ভবনের নীচতলায় উক্ত দোকান ঘরের জরুরী সংস্কারের প্রয়োজন হলে ২০১৪ সালের মার্চ মাসে ভাড়াটিয়া পান্না কে শীগ্রই ঘর ছাড়ার লিখিত নোটিশ প্রদান করা হয়। সে ৩০ মে ২০১৪ তারিখের মধ্যে ঘর ছাড়বে বলে জানালেও বাড়ী মালিকের বিরুদ্ধে উল্টো চেম্বার অব কমার্সে অভিযোগ করেন। চেম্বার সভাপতি আলোচনা ক্রমে প্রথমে দু’মাস ও পরে আরো একমাস বাড়িয়ে ২৬ আগষ্ট ২০১৪ তারিখের মধ্যে ঘর ছাড়ার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেন। কিন্তু পান্না দুই নব্য আইন ব্যবসায়ীর সহযোগীতায় ১০ আগষ্ট ঝালকাঠি সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ‘বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রন আইন’ এইচআরসি এর আওতায় বাড়ির মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে একটি মামলা (নং-১/১৪) দায়ের করে। এরপর একের পর এক মামলাবাজী শুরু করে এ পর্যন্ত ৬ টি মামলা রুজু করেছে এবং আরো মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এদিকে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে দায়েরকৃত এইচআরসি আইনের মামলায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সিভিল রিভিশন করা হলে জেলা জজ এসএম সোলায়মান ‘বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে ভাড়াটিয়ার দায়েরকৃত মোকদ্দমা অত্র আদালতে বিচারযোগ্য নয়’ মর্মে উল্লেখ সহ কতিপয় নির্দেশনা প্রদান করেন। এ অবস্থায় ২৬ অক্টোবর সিনিয়র সহকারী জজ নিত্যনন্দ সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার ও উচ্চ আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে ‘ঝালকাঠি থানার অফিসার ইনচার্জকে ৩দিনের মধ্যে দোকানের তালা খুলে পান্নাকে বুঝিয়ে দিতে’ এক বিতর্কিত আদেশ প্রদান করেন। নিত্যনন্দ সরকারের উক্ত ফরমায়েসী আদেশের বিরুদ্ধে পুনরায় আপিল আবেদন করলে ২০ এপ্রিল ২০১৫ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এইচআরসি আইনের মামলাটি খারিজ করে দেন।

এ কারনে ধূর্ত পান্না, তার দালাল আইন ব্যবসায়ী মানিক আচার্য্য ও আক্কাস সিকদার উক্ত দোকানে অবৈধ দখল বজায় রাখাতে এইচআরসি আইনে দায়েরকৃত মামলা খারিজ হওয়ার তথ্য গোপন ও মহামান্য হাইকোর্টে আপিল করেছে বলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে দ:বি: ১৪৪/১৪৫ ধারায় পুনরায় একটি মামলা (নং ২৩৮/১৫ইং) দায়ের করছেন। এঅবস্থায় মামলাবাজ পান্না ও তার সহযোগী দালালদের হাত থেকে নিজেদের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহ সকলের সহযোগীতা চেয়েছেন।#



মন্তব্য চালু নেই