হিমু সভাপতি : সম্পাদক দুলাল

ঝালকাঠিতে টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতির নতুন কমিটি গঠন

ঝালকাঠিতে ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করনের লক্ষ্যে গঠিত ঝালকাঠিতে টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতির কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে হেমায়েত উদ্দিন হিমুকে (বিটিভি) সভাপতি ও দুলাল সাহাকে (যমুনা টিভি) সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার শহরের টাউন হলস্থ সংগঠনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এক বছরের জন্য ১৫ সদস্য বিশিষ্ট প্রথম এ কার্যানির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্যরা হলেন- সহ-সভাপতি : শ্যামল চন্দ্র সরকার (এটিএন ও এটিএন নিউজ) ও মাসউদুল আলম (আরটিভি); সহ-সাধারণ সম্পাদক : আজমির হোসেন তালুকদার (একুশে টিভি) ও আহসানুল কবীর মামুন (মোহনা টিভি); কোষাধ্যক্ষ : তরুণ সরকার (একাত্তর টিভি), দফতর সম্পাদক : জহিরুল ইসলাম জলিল (আরটিভি), নির্বাহী সদস্য : জিয়াউল হাসান পলাশ (চ্যানেল ২৪), কাজী খলিলুর রহমান (দিগন্ত টিভি), হুমায়ূন কবীর (বাংলাভিশন), শহীদুল আলম (গাজী টিভি), কাওসার হোসেন (ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি), মঈনুল হক লিপু (চ্যানেল নাইন) ও মাসুম বিল্লাহ (মোহনা টিভি)। সমিতির আহ্বায়ক হেমায়েত উদ্দিন হিমুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সমিতি ও সদস্যদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সংগঠনের সার্বিক সাফল্য কামনা করে অভিনন্দন জানিয়েছেন ঝালকাঠি জেলা পরিষদ প্রশাসক জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব সরদার মোঃ শাহআলম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সুলতান হোসেন খান, পৌরমেয়র মোঃ আফজাল হোসেন, প্যানেল মেয়র রেজাউল করিম জাকির, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও পাবিলিক প্রসিকিউটর  এ্যাডঃ আব্দুল মন্নান রসুল, পিচ ফর বাংলাদেশে এর চেয়ারম্যান সুপ্রীম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী মোঃ মঞ্জিল মোর্শেদ, জেলা সাংবাদিক সংস্থা সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

শিক্ষাবোর্ডের পরিপত্র ও মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের রুলিং উপেক্ষিত
ঝালকাঠির বিভিন্ন কলেজেচ এইচএসসি পরীক্ষার
ফরম পূরণে দু’তিন গুন বেশী অর্থ  আদায়ের অভিযোগ
ঝালকাঠি জেলার বিভিন্ন কলেজগুলোতে এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে দু’তিন গুন বেশী অর্থ আদায় করছে অভিযোগ উঠেছে। বোর্ড নির্ধরিত ফি এর অধিক কোন অর্থ নেয়া যাবেনা মর্মে শিক্ষাবোর্ডের পরিপত্র ও মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের রুলিং থাকলেও জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কলেজ কর্তৃপক্ষ এসব নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা করছে না। কলেজের বিভিন্ন অভ্যন্তরিন খাত, অনুদান, বোর্ডের নির্ধারিত অর্থের দ্বিগুন ফি ও কোচিংয়ের নামে শিক্ষার্থী ও তার অভিভাবকদেও কাছ থেকে গলাকাটা ফি আদায় করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বোর্ডের পরিপত্র অনুযায়ী, এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে প্রত্যেক শিক্ষার্থির প্রতি বিষয়ে ৭৫টাক, নম্বরপত্র ৫০ টাকা, সনদপত্র -১শ টাকা, স্কাউট  ১৫টাকা ও ব্যবহারিক ফি ২৫টাকা সব মিলিয়ে ১৩শ থেকে ১৪শ টাকা। কোন ভাবেই এর অধিক কোন খাত বা বিষয়ে অর্থ আদায় করা যাবেনা মর্মে পরিপত্র উল্লেখ করা হয়েছে।
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঝালকাঠি সরকারী কলেজ থেকে ২০১৩-১৪ শিক্ষা বর্ষে এইচএসসি ফরম পূরণ করছে ৩২০ জন। এর মধ্যে মানবিক শাখায় ১৩৭ জন, ব্যবসায় শিক্ষা (কমার্স) শাখায় ১৪৭ এবং বিজ্ঞান শাখায় ৩৬ জন এইচএসসি ফরম পূরণ করেছে। কলেজ থেকে বিভিন্ন খাত দেখিয়ে জন প্রতি নেয়া ২ হাজার ৬ শত টাকা এবং প্রতিটি ব্যবহারিকের বিষয়ের জন্য নেয়া হচ্ছে ১৩০ টাকা। ঝালকাঠি সরকারী মহিলা কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করেছে ৫৯৫ জন। এরমধ্যে মানবিক শাখায় রয়েছে ২১৪ জন, ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় রয়েছে ১৩৭ জন, বিজ্ঞান শাখায় ৫৫ জন, ব্যবসায় ব্যস্থাপনা শাখায় রয়েছে ১১৮ জন এবং বিভিন্ন শাখায় অনিয়মিত রয়েছে ৭১ জন। প্রত্যেকের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে ২ হাজার ৬ শত টাকা করে। তবে এ কলেজে ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য আলাদা কোন ফি নেয়া হয় না বলে দাবী করেছে প্রধান অফিস সহকারী নাসরিন বেগম।
অপরদিকে পরীা কেন্দ্রে  হয়রানীর ভয়ে নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক পরীার্থীরা জানায়, কাঠালিয়া তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া ডিগ্রী কলেজে এইচএসসি পরীায় ফরম পূরণে প্রত্যেক শিার্থীদের কাছ থেকে ১৬১৫ টাকা থেকে ১৯৫০টাকা, কোচিং বাবদ ৮’শ টাকা, বকেয়া বেতন, তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কল্যাণ স্ট্রাষ্ট, মসজিদ চাঁদা, ভর্তি ফি, বেতন, আভ্যান্তরীণ পরীা ফি ও সেসন চার্জসহ ৫৮‘শ থেকে ৬২‘শ টাকা দিতে হয়েছে বলে আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে এক বিষয়ে ফেল করা (অনিয়মিত) শিার্থীদের কাছ থেকে ফরম পূরণে আদায় করা হচ্ছে ২৪শ ৫০টাকা থেকে ২৫শ ৫৮টাকা। এরাও মাফ পাচ্ছে না কোচিং ফি ও বকেয়া থেকে। উপজেলা অন্যান্য কলেজকে হার মানিয়ে অধ্যরে একান্ত অনুসারী কয়েকজন শিক দিয়ে উপ-কমিটি গঠন করে উক্ত কমিটির উপর দায়ভার দিয়ে শিার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন কলেজ অধ্য মোঃ মাহতাব উদ্দীন। দূর্নীতি ও পরীা কেন্দ্রে চরম অনিয়মে কারণে বরিশাল শিা বোর্ড ২০১৪ সালের অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীায় এ কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্র বাতিল করে করে দিয়েছিল। পরে অনেক তদবীরের পর শর্ত সাপেে পরীক্ষা কেন্দ্র পূর্নবহাল করাতে সম হয় বলে জানা গেছে।
শিার্থীদের অভিযোগ, ফরম পূরণের সময়ে কেন্দ্র ফি নেয়া হলেও প্রবেশপত্র নেয়ার সময় আবারো ফি নেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। অনেক দরিদ্র শিার্থীরা টাকা কমানোর অনুরোধ জানালে উপ-কমিটি শিক্ষকরা অধ্যক্ষের কাছে আবেদন করার পরামর্শ দিলে শিার্থীরা সেই সুযোগ পায়না। কারন  সকল ফরম ফিলাপের সময় অধ্য মোঃ মাহতাব উদ্দীন বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজের অযুহাতে একটানা অনুপস্থিত থাকেন। যে কারণে আবেদনকারীরা অধ্যক্ষের সাথে দেখাও করতে পারে না আর ফিও কমাতে পারেনা। কাঠালিয়া উপজেলার অধিকাংশ পরিবারই স্বল্প আয়ের ও কৃষিনির্ভর । এখন পর্যন্ত আমন পাকেনি, এ অবস্থায় সন্তানের ফরম পূরণে বাড়তি টাকা গুনতে অভিভাবদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
ফরম পূরণে ৮শ টাকা কোচিং ফি’সহ অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্য মাহতাব উদ্দীন বলেন, বোর্ড নির্ধারিত ফি নিয়েই ফরম পূরণ করানো হচ্ছে। তবে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কল্যাণ ট্রাষ্ট ও মসজিদ চাঁদা বাবদ কিছু টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে স্বীকার করেন অধ্য। এ বিষয়টি কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ঝালকাঠি-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব বজলুল হক হারুন এর নিকট ফোন করে জানতে চাওয়ার কথা বললে তিনি সাংবাদিককে ফোন না করার জন্য জোর অনুরোধ করেন ।
এ ব্যাপারে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ শাহ আলমগীর জানান, এইচএসসি পরীায় বোড নির্ধাতি ফি এর অতিরিক্ত কোন প্রকার অর্থ আদায় করা যাবেনা। ঝালকাঠির বিভিন্ন কলেজে বিশেষ করে কাঠালিয়া তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া ডিগ্রী কলেজের অর্থ আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এখোনই বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।



মন্তব্য চালু নেই