ঝটিকা সফরে ভোলায় বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান
মেঘনার ভাঙ্গনে বিচ্ছিন্ন ২১ জেলার যোগাযোগ পুনঃস্থাপনের ভোলায় ঝটিকা সফরে এসেছেন বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডোর মোজাম্মেল হক। এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্থ বরিশাল- ভোলা-লক্ষীপুর মহাসড়কের ইলিশা পয়েন্টের ভাঙ্গনে বিচ্ছিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন। এর পর বিকল্প সড়কে পল্টুন পুনঃস্থাপন করে দ্রুত ফেরী চলাচলের ব্যবস্থার নির্দেশ দেন। বিকল্প সড়ক হিসেবে ইলিশা বিশ্ব রোড-এর মাথায় পল্টুন স্থাপনের নির্দেশও দেন তিনি।
এসময় বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান ভোলায় কর্মরত সাংবাদিকদের জানান, দক্ষিনাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়নের জন্য দ্রুত এ অঞ্চলে ৬০টি নতুন পল্টুন স্থাপনের ব্যবস্থাসহ যুগোপযোগী নৌ- যোগাযোগ গড়ে তোলা হবে। এবং আগামীকালের মধ্যে ২১ জেলার সাথে বন্ধ হয়ে যাওয়া যোগাযোগ ব্যবস্থার এক মাত্র ফেরী ঘাট পুনঃস্থাপনের কাজ শুরু করার কথা জানান।
এদিকে গত ১৯ জুলাই থেকে হঠাৎ করে মেঘনার প্রবল ভাঙ্গন শুরু হলে সড়ক ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা ও বিকল্প সড়কের কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় ২৬জুলাই মহা সড়ক ভেঙ্গে গিয়ে ৩দিন থেকে অনিদৃষ্ট কালের জন্য বরিশাল- ভোলা-লক্ষীপুর রুটে ফেরী চলাচল বন্দ রয়েছে। এতে ভোগান্তীতে পড়েছে ঈদে ঢাকা ও চট্রগ্রাম থেকে ভোলা ও বরিশালে ফেরা লাখো মানুষ।
এদিকে মহা সড়কের ভাঙ্গন কবলিত হার্ট পয়েন্ট রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড বালি ভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। তবে এলাবাসীর অভিযোগ পানি উন্নয়ন বোর্ডে সঠিক সময়ে ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী নদী শাষনের ব্যবস্থা না নেয়ায় মহা সড়ক ভেঙ্গে ২১ জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
একই অভিযোগ করেছেন সড়ক বিভাগের সহকারী ইজ্ঞিনিয়র মো: আবদুল মান্নান তিনি বলেন, ভাঙ্গন প্রতিরোধে এবং মহা সড়ক রক্ষার জন্য একাধিকবার চিঠি দিয়েও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি, নদীর গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় ইলিশার এই হার্ট পয়েন্ট দিয়ে স্থায়ীভাবে নদী শাষন না করা গেলে ভোলার ভিতরের অবস্থিত বরিশাল- ভোলা-লক্ষীপুর মহাসড়কের ২০ কিলোমিটার বিলীন হয়ে যাবে।
মন্তব্য চালু নেই