জয় চলে গেলে নেতাদের হাতাহাতি

প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সংবাদ সম্মেলন ছিল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে দলের নেতাদের সঙ্গে এক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলন শেষে সজীব ওয়াজেদ জয় চলে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদকরা বৈঠকে বসেন। এসময় তাদের মাধ্যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। তারা একে অপরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এর পর বেলা ১টা ৩০ মিনিটে দলের দপ্তর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপের হস্তক্ষেপে তারা শান্ত হন।

এদিকে সংবাদ সম্মেলনে জয় বলেন, ‘বিগত ৫ বছর আওয়ামী লীগ সফলভাবে দেশ চালিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা আগামী ৫ বছরও ক্ষমতায় থাকব।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের পরবর্তী টার্গেট সরকারের পাশাপাশি দলকে শক্তিশালী করা। এজন্য আগামীতে ক্ষমতায় আসতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করব। সারাদেশে আওয়ামী লীগের ১৬ লাখ সদস্য আছে। তাদের ডাটাবেজ তৈরি করা হবে। সকল সদস্যের তথ্য বিচ্ছিন্নভাবে রয়েছে। তাই ইলেক্ট্রনিক্সের মাধ্যমে সকলের তথ্য এক জায়াগায় রাখার জন্যই এ উদ্যোগ।’
জয় বলেন, ‘যে সকল উন্নয়ন চলমান রয়েছে তার মধ্যে কীভাবে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করা যায় সে বিষয়েও ভাবছি। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে আরও এগিয়ে যাবে।’
প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি তরুণ সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আপনারা জানেন তারা সকলেই আমার বয়সী। শুধু দলের প্রচারণায় নয়, তারা কীভাবে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করতে পারেন সে বিষয়েও তাদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছি।’
৩০০শ সংসদ সদস্যের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকার কথা ছিল কিন্তু এখন ১৫০ জনের আছে অন্যদের কেন নেই এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যারা প্রগতিশীল তাদের সকলের অ্যাকাউন্ট আছে। এছাড়া নির্বাচন হলো মাত্র ৫ মাস। খুব শিগগির সকলেরই হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে আমরা সকলকে সহযোগিতা করব।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বীর বাহাদুর, বিএম মোজাম্মেল হক, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ চৌধুরী প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই