জ্বর হলে যে ১০টি খাবার খাওয়া উচিত
জ্বর হলে শরীরে ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে প্রয়োজন হয়। তাই এই ১০টি খাবার আমাদের খাওয়া দরকার
১) ফ্রুট জুস
দিনে যদি দু’বার মুসাম্বির রস বা কমলালেবুর রস খাওয়া যায় তবে খুবই ভাল।
২) চিকেন স্যুপ
জ্বর হলে এই খাদ্যটি খুবই উপাদেয় লাগে। চিকেন স্যুপে যদি ভালমতো সবজিও দেওয়া হয় তবে পুষ্টিগুণ বেড়ে যায় এবং শরীরে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সরবরাহ হয়। এই প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার টিস্যু গঠনে সাহায্য করে এবং শরীরকে সেরে উঠতে সাহায্য করে।
৩) প্রোবায়োটিক খাবার
প্রোবায়োটিক হল ভাল ব্যাকটেরিয়া যারা শরীরে বাসা বেঁধে অন্যান্য ভাইরাসের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে কোনও প্রোবায়োটিক ড্রিংক খাওয়া যায়। এছাড়া ইয়োগার্ট বা বাটারমিল্কও প্রোবায়োটিক ফুড।
৪) সফট ডায়েট
যে কোনও নরম খাবার যেমন সবজি, পরিজ, ডিমসেদ্ধ ইত্যাদি খাবার হজম হতে সুবিধে হয়। ভাত চটকে খাওয়া যাদের পছন্দ নয় তারা এই খাবারগুলি খেতে পারেন। এগুলি পুষ্টিগুণেও ভরপুর।
৫) আদা দিয়ে ফোটানো গলা ভাত
খুব একটা উপাদেয় নয় কিন্তু ফ্লু-এর ক্ষেত্রে শরীরের জন্য বেশ উপকারী। ভাতটা গলা গলা এবং অল্প ফ্যান ফ্যান থাকলে ভাল।
৬) তাজা ফল
অনেকের ধারণা টক ফল খেলে জ্বর বেড়ে যায়। একেবারেই ভুল ধারণা। আপেল, কমলালেবু, আঙুর, আনারস ইত্যদি ফলে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ রয়েছে। তাই জ্বরের সময় ফ্রুট স্যালাড খাওয়া উচিত বেশি করে।
৭) রসুন ফোটানো জল
আদার মতোই রসুনও সর্দিজ্বর নিরাময়ে খুবই কার্যকরী। এক কাপ মতো জলে একটি কোয়া ফেলে ফুটিয়ে নিয়ে সেই ইষদুষ্ণ জল দিনে দু’বার খেলে জ্বর কমাতে সাহায্য করে।
৮) কিসমিস
জ্বরের সময় মাঝেমধ্যেই একটি-দু’টি করে কিসমিস খাওয়া ভাল কারণ এতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। তাছাড়া শরীরে এনার্জি সরবরাহ করে এই ড্রাই ফ্রুট।
৯) তুলসি পাতা
সর্দি-কাশি প্রতিরোধে পরিচিত টোটকা তুলসি-মধু। জ্বর হলে একটি-দু’টি পাতা চিবিয়ে খেলেও উপকার হবে।
১০) অরেগানো
এটি একটি ভূমধ্যসাগরীয় হার্ব যা মূলত রান্নায় দেওয়া হয়। ঠান্ডা লাগা, সর্দিজ্বর ইত্যাদিতে খাওয়া ভাল।-এবেলা
মন্তব্য চালু নেই