জোট থেকে জামায়াতকে বাদ দিচ্ছেন খালেদা?
বিএনপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই মনে করছেন, জাতীয় স্বার্থে জামায়াতেরই ২০ দলীয় জোট থেকে সরে যাওয়া উচিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ডক্টর এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জঙ্গিবাদ নির্মূলে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে পারেন।
গুলশানের রক্তাক্ত জঙ্গি হামলার পর জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, জামায়াতকে নিয়ে ঐক্য হতে পারে না।
এ নিয়ে করণীয় ঠিক করতে গুলশান কার্যালয়ে দল এবং ২০ দলীয় জোট নেতাদের পর বিশিষ্টজনদের সঙ্গেও বৈঠক করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। সেখানেও জাতীয় ঐক্যের জন্য জামায়াতকে ছাড়ার দাবি ওঠে।
জামায়াতের পূর্বপুরুষ একাত্তরে অন্যায় করেছে, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে। তাই তাদের আবার ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ।
সভা-সেমিনার কিংবা সংবাদ সম্মেলনে এ ইস্যু এড়িয়ে যাচ্ছেন বিএনপি নেতারা। কখনো পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান প্রশ্ন করেন, রাজাকার আর স্বৈরাচারদের সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করে সরকার আরেকজনকে নিয়ে যখন কথা বলে তখন কেন প্রশ্ন করা হয় না।
তবে স্পষ্ট কথা বলেছেন বিএনপি’র ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ।
তার মতে, বিএনপি ২০ দল থেকে সরে যেতে পারে। কেননা জাতীয় স্বার্থ সবার কাছেই বড়। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট। তিনি ইচ্ছা করলেই যে কোনো একটি দলকে জোট থেকে সরিয়ে দিতে পারেন।
সাবেক উপাচার্য বলেন, ‘জঙ্গিবাদ ভয়ঙ্কর গুরুত্বপূর্ণ একটি জাতীয় ইস্যু। এই ইস্যুতে যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়, বেগম জিয়া এক্ষেত্রে পিছপা হবেন না।’
এ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেছেন, জাতীয় স্বার্থে সব কিছুর ঊর্ধ্বে থেকে জঙ্গিবাদ ইস্যুতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
মন্তব্য চালু নেই