আনপ্রেডিকটেবল হুদার নেতৃত্বে
জোট গড়ে ওঠা কাঁঠালের আমস্বত্তের প্রবাদের মত
আনপ্রেডিকটেবল ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদার নেতৃত্বে জোট গড়ে ওঠা কাঁঠালের আমস্বত্তের গল্পের মত। কেননা তিনি সকালে নতুন কিছু করার চিন্তা করলেই বিকেলে তা ভেস্তে গিয়ে বিএনপি হয়ে যায়। বিএনপির ফেলে আসা দিনগুলি ভুলতে না পারার কষ্ট তাকে মুচড়ে একাকার করে ফেলেছে। বাংলাদেশ ন্যাশনালিষ্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল এ্যালায়েন্স-বিএনএ এবং পরে বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি-বিএমপি গড়ার ধারাবাহিক রেজাল্ট একই রকম। সব কিছুই তার সাবেক বিএনপিতে ফিরে যাবার প্রচেষ্টার একটি সাজানো ছক মাত্র। সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বরে সর্বাত্বক চেষ্টা চালিয়ে দোহারের রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর এর সাথে যোগসাজসের মাধ্যমে বিএনপিতে ফেরার প্রকৃয়া হিসেবে বিএনপি অফিসে দলনেত্রী বেগম খালেদার সাথে দেখা করার উদ্দেশ্যে বিএনপি’র গুলশান অফিসে গেলে সেখানকার কেন্দ্রিয় নেতারা লাইট অফ করে অফিস থেকে বেরিয়ে গেলে বিষয়টিতে বড় ধরনের একটি শক খান তিনি। সে ঘটনার পর ভেঙ্গে যায় বিএনএ। দিগ¦ীদিক হারিয়ে দিশাহীন হুদা এরপর নতুন রাস্তায় হাটার উদ্দেশ্যে নভেম্বরে ঘোষনা দেন বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি-বিএমপি নামক নতুন আরেকটি রাজনৈতিক দলের। এই নব্য দলের প্রচার গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হলেও দীর্ঘ ১ মাসে দলের কমিটি গঠন ও কমিটি ঘোষনার জন্য নেতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যারা ইতিপূর্বে বিএনএ’তে কাজ করেছিলেন তারা মাঝপথে হুদার বিএনপিতে ফেরার প্রকৃয়ার বিষয়টি জানার কারণে এখন আর নতুন করে বিএমপিতে কাজ করার বিষয়ে একমত হতে পারেননি বলেই দলের কমিটি গঠন হচ্ছে না এমনটি মনে করেন নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সাবেক বিএনএ নেতা। তাছাড়া হুদার জোটে যোগদানের উদ্দেশ্যে কিছু কিছু রাজনৈতিক দলের নেতারা তার সাথে দেখা করতে আসলে তারা তার বিএমপিতে যোগদানের জন্য প্রস্তাব পাওয়ায় বেকে বসেছেন। এ সকল বিষয়ে সাবেক বিএনএ ভাইস চেয়ারম্যান ও ন্যাশনাল লেবার পার্টি-এনএলপি’র চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ জিয়া’র নিকট এ প্রতিবেদক হুদার দল ও রাজনীতি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,
নাজমুল হুদা আন প্রেডিকটেবল। তিনি তার রাজনৈতিক স্থিরতা হারিয়ে ফেলেছেন। হারিয়ে ফেলেছেন জনগণের আস্থাও। একেরপর এক সিদ্ধান্ত পরিবর্তন তাকে রাজনীতিতে পিছিয়ে দিয়েছে। এ কারণেই তিনি তার নতুন দল গোছাতে হিমসিম খাচ্ছেন। নিজ দল না গুছিয়েই নতুন নতুন দল নিয়ে রাজনৈতিক জোট ঘোষনার বিষয়টি তাই অনেকের কাছে অনাস্থার কারণ হয়েছে এবং তিনি যেকোন মুহুর্তে বিএনপিতে ফিরে যেতে পারেন এমনটি মনে করে সবাই চুপচাপ সরে পড়ছেন। এ জন্যই তার ঘোষিত জোটে যোগদান করার বিষয়ে তেমন সাড়া মিলছে না। কিছু দল প্রথমে জোটে থাকার ঘোষনা দিলেও পরবর্তীতে নিজেদেরকে জোটে না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে দলগুলোর পক্ষ থেকে সাড়া মেলেনি। তাই আমরাও আমাদের দল ন্যাশনাল লেবার পার্টি-এনএলপি’কে হুদার জোটে যোগদান না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং আমাদের সাথে বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-বিএলডিপি, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামীলীগ-বাকশাল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন-বিজিএ, বাংলাদেশ ইনসাফ পার্টি-বিআইপি, বাংলাদেশ সোনার বাংলা পার্টি-বিএসপি, বাংলাদেশ জনশক্তি পার্টি-বিপিপি, বাংলাদেশ গণসংগ্রাম পরিষদ জোটে না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য চালু নেই